যীশুর জন্মকাহিনী

বাইবেলের গস্পেলগুলো মতে, জিবরাঈল (আ) এসে জখন মেরিকে যীশুর জন্মের সুসংবাদ দিলেন তখন মেরি আশ্চর্য হলেন। কারন, তিনি ছিলেন কুমারী। বাইবেল বলছে, তিনি ছিলেন জোসেফ এর সাথে। কাঠমিস্ত্রি জোসেফ। এখানে, প্রসঙ্গ যখন উঠলই তাই জোসেফের ব্যাপার ক্লিয়ার করি।

অনেকের প্রশ্ন আছে, খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা তো ঈসার পালক বাবা কে। তিনি কে? আমি আগের একটা নোটে এটা লিখেছিলাম। এখানে আবারো লিখলাম। যদি কেউ আগে মিস করে থাকেন। খ্রিস্টানরা বলে, জোসেফের সাথে মেরীর বিয়ের কথা ছিল। সন্দেহবাদীরা বলে, জোসেফের ঔরসের সন্তান ঈসা। কিন্তু, বাইবেল কিন্তু ক্লিয়ারলি বলে যে, তাদের মধ্যে কোন যৌন সম্পর্ক তখনও ছিল না। তাহলে এ জোসেফ কি আসলে পুরোপুরি কাল্পনিক একটা চরিত্র? এতবার যার নাম আসছে এই চরিত্রটাকি কাল্পনিক হতে পারে?



যথা সময়ে জন্মের সময় হলে, মেরি তাঁর স্বামী জোসেফের সাথে বেথেলহেম গেলেন। কিন্তু ওখানে কেউ তাদের থাকার জায়গা দিল না। শেষ পর্যন্ত মেরীর জায়গা হল একটা গোয়ালে। সেখানেই জন্ম হয় মানবজাতির ত্রাতা যীশুর। তাঁর আশেপাশে তখন গবাদি পশু। বেথেলহেম এর আশেপাশের রাখালদেরকে এক ফেরেশতা এসে বলে যান যে তাদের ত্রাতার জন্ম হয়েছে তারা ছুটে গিয়ে দেখে এলো যীশুকে। শিশু যীশু।

আরও বলা হয়, পরে পূর্বের দেশ থেকে তিন রাজা বা জ্ঞানী লোক যীশুকে দেখতে আসেন। তাদেরকে ম্যাজাই বলা হয়। আকাশের তারা দেখে ভবিষ্যৎবাণী ফলো করে তারা বেথেলহেমে এসে পৌঁছান। এটাকে স্টার অফ বেথেলহেম বলা হয়। তারা যীশুকে উপহার দিলেন তিনটা জিনিস। সোনা, ধূপ আর গন্ধরস।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url