মাছ ভাজা রান্না

মাছ ভাত আমাদের ঐতিহ্য, আর সেই মাছ যদি হয় পদ্মার ইলিশ তবে তো কথাই নেই! মাছ ভাজার সময় খুব ভাল করে ধুয়ে পানি চিপে ফেলে দিতে হয়। খুব ভাল হয় যদি কিচেন টিসু দিয়ে শুকনো করে ফেলে হলুদ, মরিচ আর লবন মাখানো হয়। তাতে মাছ ভাজার সময় মাছ লেগে যাবে না.মাছের পানি সহ তেলে দেয়ার সাথে সাথে তেল ছিটা থেকে শুরু করে পানির কারনে মাছ কড়াইতে আটকে যায়।

মাছের পানি গরম তেল ঠান্ডা করে দিবে। ফলাফল ঠান্ডা তেলে মাছ ভাজার কারনে কড়াইতে মাছের চামড়া আটকে যাওয়া,মাছ উল্টানোর সময় খুলে খুলে আসা।
মাছ ভাজার সময় তেল টা ভাল গরম হতে হবে. তেল যথেষ্ট গরম না হলেও মাছ লেগে যাবে.মাছের তেল গরম হবে,তবে এমন গরম না যে ধোয়া উঠছে। খুব বেশি বা খুব কম এই দুই আচেই ভাজা খারাপ।

মাঝারি আচে মাছ ভাজুন. এক পিঠ ভাল মতো হতে বা হতেই উল্টাতে যাবেন না। মাছ ভেংে যাবার সম্ভাবনা থাকে। মাছ সব সময় একটু বেশি তেলে ভাজতে হয়। তবে নন্সটিক কড়াই ব্যাবহার করলে বেশি তেল লাগে না।

চিংড়ি, মাসলস, ওয়েস্টার যতো ভাজবেন, ততো শক্ত আর রাবারি হবে এগুলো খুব বেশি সময় ধরে ভাজতে বা রান্না করতে হয় না। রুই, কাতল, মৃগেল, কই, শোল, খলিশা, পুতি, সরপুটি ইত্যাদি মাছ গুলো ভাজা বা না ভেজে রান্না দুইভাবেই ভালো লাগে। দেশি রান্নায় এগুলো ঘন ঝোলে মজা লাগে। বড় মাছ গুলো যেমন আইড়, বোয়াল, পাংগাশ একটু বেশি মশলা দিয়ে ভুনা ভাল লাগে। এতে পিয়াজ এর সাথে আদা রশুন বাটাও দিতে হয়।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url