ইতিহাসের নিরিখে এপ্রিল ফুল আসলে কি

এপ্রিল ফুলের প্রথাটি শুরু হয় রোমান সম্রাট কনস্ট্যান্টাইনের শাসনামলে। প্রাচীন ইউরোপের সকল উৎসব বসন্ত কেন্দ্রিক ছিল। এপ্রিল-ফুলের উৎপত্তি মূলত সেসব উৎসব নির্ভর। হাসি-ঠাট্টা নিয়ে মেতে থাকে এমন একদল বোকা গোপাল ভাঁড় সম্রাটকে কৌতুক করে বলে, তারা রাজার চেয়ে ভালভাবে দেশ চালাতে পারবে। রাজা মহোদয় বেশ পুলকিত হলেন। রাজা গোপাল ভাঁড়দের সর্দার কুগেলকে একদিনের জন্য বাদশাহ বানিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। আর কুগেল সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যময় আইন জারি করে দিল যে, প্রতি বছরের এ দিনে সবাই মিলে তামাশা করবে। এপ্রিল ফুলের প্রথাটি শুরু হয় রোমান সম্রাট কনস্ট্যান্টাইনের শাসনামলে। প্রাচীন ইউরোপের সকল উৎসব বসন্ত কেন্দ্রিক ছিল। এপ্রিল-ফুলের উৎপত্তি মূলত সেসব উৎসব নির্ভর। হাসি-ঠাট্টা নিয়ে মেতে থাকে এমন একদল বোকা গোপাল ভাঁড় সম্রাটকে কৌতুক করে বলে, তারা রাজার চেয়ে ভালভাবে দেশ চালাতে পারবে। রাজা মহোদয় বেশ পুলকিত হলেন। রাজা গোপাল ভাঁড়দের সর্দার কুগেলকে একদিনের জন্য বাদশাহ বানিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেন। আর কুগেল সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যময় আইন জারি করে দিল যে, প্রতি বছরের এ দিনে সবাই মিলে তামাশা করবে। প্রাচীন ঐ সময়ের মারাত্মক দিনগুলোতে রাজাদের দরবারে কিন্তু বোকারূপীরাই ছিল প্রকৃত জ্ঞানী। তারা মজা বা হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে অনেক কাজ কৌশলে হাছিল করে নিত বা জ্ঞানের কথা রসালোভাবে চারদিকে ছড়িয়ে দিত। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে কাউকে বিভিন্নভাবে বোকা বানানোর প্রথা চালু আছে। রোমানদের হিলারিয়া উৎসবও এর অন্যতম। তারা মার্চের ২৫ তারিখে আট্রিসের পুনরুত্থান নিয়ে এ দিনে হালকামি করত, ইহুদীরা করত পুরিম উপলক্ষে। ভারতীয়রাও হোলি উৎসব এ দিনের আশেপাশে করে থাকে। প্রত্যেকটা উৎসবকেই কৌতুককর বা আনন্দদায়ক বলা যাবে, স্বাস্থের জন্যে উপকারী বলা যাবে, এখানে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের উপস্থিতি কোথায় তা অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি। প্রাচীন রোমে ১ এপ্রিল নববর্ষ ছিলো, কিন্তু বাকি ইউরোপিয়ানরা সেটা পালন করত ২৫ মার্চ। ১৫৮২ সালে পোপ গ্রেগরি XIII পুরোনো জুলিয়ান ক্যালেন্ডারকে বাতিল করে নতুন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার(বর্তমানে প্রচলিত যাকে আমরা ইংরেজি ক্যালেন্ডার বলি) চালুর আদেশ দেন যেখানে ১ জানুয়ারি নববর্ষ। জনগণের বিরাট অংশ এই পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করে ১ এপ্রিল পালন করতে থাকে। পরিবর্তনবিমুখ সেসব সনাতন বিধিবদ্ধ মানুষদের নিয়ে কৌতুক করতে এপ্রিল ফুল'স ডে'র চল শুরু হয়। ১ জানুয়ারি নববর্ষ পালনকারীরা ১ এপ্রিলে পালনকারী সনাতনপন্থীদের ভূয়া উপহার পাঠিয়ে কৌতুকের জন্ম দিত। বসন্ত মানুষের মনে আনন্দ এনে দেয় তাই বসন্তের দিনগুলোতে পরস্পরের সাথে মজা করত মানুষ। বসন্তকালীন বিষুব সময়ে, অর্থাৎ যে সময়ে দিনরাত মোটামুটি সমান থাকে। সময়টি হল ২১শে মার্চ থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ঋতু পরিবর্তনের প্রান্তিক সময় ২৫ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল । ইউরোপিয়ান অনেক সভ্যতায় এমন প্রমাণ পাওয়া যায় যেখানে ঠিক এই সময়ে বোকা বানিয়ে মজা করার উৎসবের প্রচলন ছিল, সে সময়ে এই উৎসব এপ্রিলের প্রথম দিনে শুরু হয়ে এক বা দুই সপ্তাহ চলত হাসি-ঠাট্টা।

ইতিহাসের নিরিখে এপ্রিল ফুল আসলে কি

অন্যান্য দিবসের মতো এপ্রিল ফুল দিবসটির উৎপত্তি পাশ্চাত্যে হলেও এর বিস্তৃতি এখন দেশে দেশে। পশ্চিমা সমাজে এ সংস্কৃতির চর্চা ব্যাপক। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নির্মম কৌতুকও করা হয়। যেমন, কারো পিতামাতা বা স্ত্রীর ও বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ পরিবেশন করে কৌতুক করা হয়। সাদা কাগজ খামে ভর্তি করে বা স্বাক্ষর ছাড়া শূন্য চেক বন্ধুর কাছে পাঠিয়েও কৌতুক করা হয়। অন্যান্য দিবসের মতো এপ্রিল ফুল দিবসটির উৎপত্তি পাশ্চাত্যে হলেও এর বিস্তৃতি এখন দেশে দেশে। পশ্চিমা সমাজে এ সংস্কৃতির চর্চা ব্যাপক। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নির্মম কৌতুকও করা হয়। যেমন, কারো পিতামাতা বা স্ত্রীর ও বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ পরিবেশন করে কৌতুক করা হয়। সাদা কাগজ খামে ভর্তি করে বা স্বাক্ষর ছাড়া শূন্য চেক বন্ধুর কাছে পাঠিয়েও কৌতুক করা হয়। ফার্সি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নতুন বছরের (নৌরোজ) ১৩তম দিনে প্রাচীন ইরানের লোকজন পরস্পরের সাথে হাসি-ঠাট্টা করত, সেটা খৃষ্টপূর্ব ৫৩৬ এর কথা। একে বলা হয় সিজদাহ বেদার, ফার্সি ক্যালেন্ডারের ১৩তম দিনটিই ইংরেজি ক্যালেন্ডারের এপ্রিল ১ বা ২ হয়ে থাকে। কোরিয়াতে পয়লা এপ্রিল ছিল 'বছরের প্রথম তুষারপাতের দিন', গুরুত্বপূর্ণ এক কোরিয়ান স্টেট 'জোসেন' এর ফাউন্ডার উচ্চবংশীয় জোসিয়নরা এদিন উচ্চমর্যাদা ঝেড়ে ফেলে বরফের বল পরস্পরের দিকে ছুড়ে মেরে বোকা বানাতো পথচারীদের এবং ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে হাস্যরস তৈরি করত, বিনিময়ে পথচারীরাও বরফের বল বানিয়ে ছুড়ে দিত। ফ্রান্সে পয়লা এপ্রিলে কাউকে বোকা বানালে বলা হতো এপ্রিল মাছ। এ নামকরণের ব্যাখায় বলা হয়, রাশিচক্র অনুযায়ী স্বর্গের কাল্পিক রেখা অতিক্রম করাকালে এপ্রিলে সূর্যকে মাছের মত দেখায়। এইদিনে তারা ছুটি কাটাত এবং মরা মাছ এনে তাদের বন্ধুদের পেছনে সেটে দিয়ে মজা করত। এখন মরা মাছের বদলে ছোটরা আসল মাছের স্টিকি কাগজ বন্ধুদের শার্টের পেছনে গেথে দেয়। ক্যান্ডি শপ ও বেকারিগুলোও মাছ আকৃতির মিষ্টি পরিবেশন করে এইদিন স্মরন করে।স্কটল্যান্ডে পয়লা এপ্রিল হচ্ছে কোকিল শিকারের দিন।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Bani
    Bani ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১ এ ৫:৩১ PM

    hahaha.. quite useful eh?! :P

Add Comment
comment url