তামাকের উৎপত্তি সংক্রান্ত ইতিহাস
তামাকের আদি জন্ম স্থান উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকায়। এর শুকনো পাতা কে তামাক বলে।এর পাতা সাধারনত ১২-১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তামাক থেকে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা ইত্যাদি তৌরি হয়। এই অগ্নি সংযোগ করে সেবন করা হয়। আবার অনেকে নস্যি, খৌন ব্যাবহার করে থাকে তামাকের মুল নিশা দায়ক নিকোটিন।
ধূমপানের ইতিহাস সভ্যতার মতোই প্রাচীন। সেই প্রাচীন কালেই ব্যাবেলনীয় ও মিশরীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রচলন ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দে প্রাচীন মিশরীয়রা ‘ক্যানাবিস’ নামক ধূমপানের প্রচলন করেছিল। যা ছিল আদতে আমাদের দেশের হুক্কার একটি রূপ। ১৬ শতকে আমেরিকাতে প্রথম তামাকের চাষ শুরু হয়। ১৮৬৫ সালে ওয়াশিংটন ডিউক নামে আমেরিকার এক ব্যক্তি প্রথম হাতে তৈরি সিগারেট উদ্ভাবন করে।
পরে ১৮৮৩ সালে জেমস বনস্যাক নামে আর এক আমেরিকান সিগারেট তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবন করে। যা থেকে দিনে প্রায় এক হাজার সিগারেট তৈরি করা যেত। মোঘল চিত্রকলা অনুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশে ধূমপানের প্রচলন ঘটান মুঘলরা। উপমহাদেশে নবাবি ঘরানার আভিজ্যাত্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিল সুগন্ধি তামাক সেবন। পরবর্তী সময়ে হুক্কা ও ছিলিমের সাহায্যেও ধূমপান করা হতো। তামাকের সাহায্যে ধূমপানকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেয় ইউরোপীয়ানরা।
ধূমপানের রয়েছে নানা ধরন। মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ধূমপান করে থাকে। কেউ কেউ আদিকালের হুক্কার সাহায্যে ধূমপান করে যা এখন কেবলমাত্র প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ৬০/৭০-এর দশকের মতো পাইপের সাহায্যে ধূমপান করে। তবে বর্তমানকালে চুরুট, বিড়ি ও সিগারেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ধূমপান করা হয়। বিড়ি ও সিগারেট ধূমপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি মাধ্যম। ধূমপানের প্রধান উপকরণ হলো তামাক। তবে অনেকে ধূমপানের জন্য গাঁজা ও আফিম ব্যবহার করে। তামাক পাতার গুড়োর সাথে আরো কিছু উপাদন মিশিয়ে সেগুলো দিয়ে বিড়ি বা সিগারেট তৈরি করা হয়।
ধূমপায়ীরা সবসময়ই ধূমপানের স্বপক্ষে যুক্তি দেখায় যে ধূমপানের ফলে ক্লান্তি কিংবা অবসাদ দূর হয়ে যায়। ধূমপানের ফলে অনেক জটিল চিন্তাও খুব সহজ হয়ে যায় বলে তারা বিশ্বাস করে। তাদের মতে ধূমপান মাথাকে হালকা করে, ঝড়ঝড়ে করে। ফলে নতুন করে কর্মোদ্যম আসে এবং পূর্ণ মনোযোগ দেয়া যায়। তাই অনেকে ধূমপানের ব্যবহৃত তামাককে বলে ‘ব্রেইন টনিক’।
ধূমপায়ীদের মতে ধূমপান আলস্য কাটাতে খুবই কার্যকরী। তাদের কাছে অবকাশ যাপনেও ধূমপান তুলনাহীন। কেউ কেউ আবার মনে করে ধূমপান ‘স্মার্টনেস’ এর পরিচায়ক। আবার কারো কারো মতে ধূমপান তার সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। তবে ধূমপায়ীদের কোনো ব্যাখ্যারই বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। মূলত এক প্রকার আসক্তির কারণে তারা ধূমপান করে থাকে।
ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে দেশে দেশে ধূমপান বিরোধী আইন তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান করা তাই এখন সামাজিক অপরাধ। প্রকাশ্যে ও জনসমাগমে ধূমপান করলে সেটি যেমন অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় তেমনি ধূমপায়ীকে দ ন্ড ও দেয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ধূমপায়ীকে জরিমানা হিসেবে দিতে হয়। আমাদের দেশেও প্রকাশ্যে ধূমপান করা দ-নীয় অপরাধ।
কিন্তু আইন থাকলেও তার প্রচলন বা প্রয়োগ কোনটাই আমাদের দেশে দেখা যায় না। এখানে তাই সকলে নির্বিঘ্নে প্রকাশ্যে ও জনাকীর্ণ এলাকায় ধূমপান করে। এমনকি যার জরিমানা করার কথা সেই পুলিশেরাও আয়েশি ভঙ্গিতে প্রকাশ্যে ধূমপান করে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো পুরোপুরিভাবে ধূমপান মুক্ত এলাকা হওয়ার কথা হলেও আমাদের এখানে তার সঠিক চর্চা নেই। তাই সকলেই অপরাধ জেনেও যেখানে সেখানে ধূমপান করে।
ধূমপান প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি ও কার্যকরী পদক্ষেপ হলো ব্যক্তির সদিচ্ছা ও একান্ত প্রচেষ্টা। একজন ব্যক্তি যদি সচেতনভাবে ধূমপানকে এড়িয়ে চলে, আসক্ত হতে না চায় কিংবা ধূমপান ছাড়তে চায় তাহলে সে খুব সহজেই তার মনোবল দিয়ে ধূমপানকে প্রতিরোধ করতে পারে। আর বিশ্বজুড়ে ধূমপান এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছে যে একে প্রতিরোধ করতে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। বরং বড় পরিসরে, সরকারিভাবে এর বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিতে হবে। বাইরের দেশগুলোতে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। ফলে মানুষ সচেতন হয়েছে।
ধূমপানের ইতিহাস সভ্যতার মতোই প্রাচীন। সেই প্রাচীন কালেই ব্যাবেলনীয় ও মিশরীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রচলন ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দে প্রাচীন মিশরীয়রা ‘ক্যানাবিস’ নামক ধূমপানের প্রচলন করেছিল। যা ছিল আদতে আমাদের দেশের হুক্কার একটি রূপ। ১৬ শতকে আমেরিকাতে প্রথম তামাকের চাষ শুরু হয়। ১৮৬৫ সালে ওয়াশিংটন ডিউক নামে আমেরিকার এক ব্যক্তি প্রথম হাতে তৈরি সিগারেট উদ্ভাবন করে।
পরে ১৮৮৩ সালে জেমস বনস্যাক নামে আর এক আমেরিকান সিগারেট তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবন করে। যা থেকে দিনে প্রায় এক হাজার সিগারেট তৈরি করা যেত। মোঘল চিত্রকলা অনুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশে ধূমপানের প্রচলন ঘটান মুঘলরা। উপমহাদেশে নবাবি ঘরানার আভিজ্যাত্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিল সুগন্ধি তামাক সেবন। পরবর্তী সময়ে হুক্কা ও ছিলিমের সাহায্যেও ধূমপান করা হতো। তামাকের সাহায্যে ধূমপানকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেয় ইউরোপীয়ানরা।
ধূমপানের রয়েছে নানা ধরন। মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ধূমপান করে থাকে। কেউ কেউ আদিকালের হুক্কার সাহায্যে ধূমপান করে যা এখন কেবলমাত্র প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেই দেখতে পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ৬০/৭০-এর দশকের মতো পাইপের সাহায্যে ধূমপান করে। তবে বর্তমানকালে চুরুট, বিড়ি ও সিগারেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ধূমপান করা হয়। বিড়ি ও সিগারেট ধূমপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি মাধ্যম। ধূমপানের প্রধান উপকরণ হলো তামাক। তবে অনেকে ধূমপানের জন্য গাঁজা ও আফিম ব্যবহার করে। তামাক পাতার গুড়োর সাথে আরো কিছু উপাদন মিশিয়ে সেগুলো দিয়ে বিড়ি বা সিগারেট তৈরি করা হয়।
ধূমপায়ীরা সবসময়ই ধূমপানের স্বপক্ষে যুক্তি দেখায় যে ধূমপানের ফলে ক্লান্তি কিংবা অবসাদ দূর হয়ে যায়। ধূমপানের ফলে অনেক জটিল চিন্তাও খুব সহজ হয়ে যায় বলে তারা বিশ্বাস করে। তাদের মতে ধূমপান মাথাকে হালকা করে, ঝড়ঝড়ে করে। ফলে নতুন করে কর্মোদ্যম আসে এবং পূর্ণ মনোযোগ দেয়া যায়। তাই অনেকে ধূমপানের ব্যবহৃত তামাককে বলে ‘ব্রেইন টনিক’।
ধূমপায়ীদের মতে ধূমপান আলস্য কাটাতে খুবই কার্যকরী। তাদের কাছে অবকাশ যাপনেও ধূমপান তুলনাহীন। কেউ কেউ আবার মনে করে ধূমপান ‘স্মার্টনেস’ এর পরিচায়ক। আবার কারো কারো মতে ধূমপান তার সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। তবে ধূমপায়ীদের কোনো ব্যাখ্যারই বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। মূলত এক প্রকার আসক্তির কারণে তারা ধূমপান করে থাকে।
ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে দেশে দেশে ধূমপান বিরোধী আইন তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে ধূমপান করা তাই এখন সামাজিক অপরাধ। প্রকাশ্যে ও জনসমাগমে ধূমপান করলে সেটি যেমন অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় তেমনি ধূমপায়ীকে দ ন্ড ও দেয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ধূমপায়ীকে জরিমানা হিসেবে দিতে হয়। আমাদের দেশেও প্রকাশ্যে ধূমপান করা দ-নীয় অপরাধ।
কিন্তু আইন থাকলেও তার প্রচলন বা প্রয়োগ কোনটাই আমাদের দেশে দেখা যায় না। এখানে তাই সকলে নির্বিঘ্নে প্রকাশ্যে ও জনাকীর্ণ এলাকায় ধূমপান করে। এমনকি যার জরিমানা করার কথা সেই পুলিশেরাও আয়েশি ভঙ্গিতে প্রকাশ্যে ধূমপান করে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো পুরোপুরিভাবে ধূমপান মুক্ত এলাকা হওয়ার কথা হলেও আমাদের এখানে তার সঠিক চর্চা নেই। তাই সকলেই অপরাধ জেনেও যেখানে সেখানে ধূমপান করে।
ধূমপান প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি ও কার্যকরী পদক্ষেপ হলো ব্যক্তির সদিচ্ছা ও একান্ত প্রচেষ্টা। একজন ব্যক্তি যদি সচেতনভাবে ধূমপানকে এড়িয়ে চলে, আসক্ত হতে না চায় কিংবা ধূমপান ছাড়তে চায় তাহলে সে খুব সহজেই তার মনোবল দিয়ে ধূমপানকে প্রতিরোধ করতে পারে। আর বিশ্বজুড়ে ধূমপান এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছে যে একে প্রতিরোধ করতে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। বরং বড় পরিসরে, সরকারিভাবে এর বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিতে হবে। বাইরের দেশগুলোতে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। ফলে মানুষ সচেতন হয়েছে।