পারিবারিক বিপর্যয় রোধে আমাদের করণীয়

পাশ্চাত্যে বহু আগেই পারিবারিক প্রথা ভেঙ্গে পড়েছে। সেই ঢেউয়ের প্রচন্ড অভিঘাত আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থার উপরও আছড়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত। অবাধ নারী স্বাধীনতার নামে আমাদের দেশের নারীদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা চলছে পুরোদমে। আজকে আমাদের পারিবারিক ব্যবস্থা মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে। সময় থাকতে আমাদেরকে এখুনি এ ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। পারিবারিক বিপর্যয় রোধে গ্রহণ করতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা । নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করা হলো।

আমাদের সমাজের নারী-পুরুষ বিশেষত যুবক-যুবতীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ আমূল পরিবর্তন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, বস্ত্তবাদী ও ভোগবাদী সমাজ ও পরিবার সমাজ ও পরিবারের জন্য কোন দিক দিয়েই আদর্শ ও অনুসরণীয় হতে পারে না। সমাজ ও পরিবারের রীতি-নীতি শুধু পারিবারিক বিপর্যয়েরই সৃষ্টি করে না, মানুষকে পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট চরিত্রের বানিয়ে দেয়। অতএব, তাদের অন্ধ অনুকরণ করে আমরা কোনক্রমেই পশুত্বের স্তরে নেমে যেতে পারি না।



অসৎ সঙ্গে মিশে ছেলে-মেয়ে যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে পরিবারের অভিভাবক ও সদস্যদের তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে হবে। তারা কার সাথে চলাফেরা, উঠাবসা, খেলাধূলা ও বন্ধুত্ব স্থাপন করে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। পরিশেষে বলা যায়, পরিবার ও পারিবারিক জীবনের গুরুত্ব অপরিসীম। দেহের মধ্যে হার্ট বা কলবের স্থান যেমন, পরিবারের স্থান তেমন। শরীরের মধ্যে একটি গোশতপিন্ড রয়েছে। যদি তা সুস্থ-স্বাভাবিক থাকে তাহলে গোটা শরীর সুস্থ-স্বাভাবিক থাকে। আর যদি তা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সমস্ত শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঐ গোশতপিন্ডটি হচ্ছে কলব বা হৃদয়।

সুতরাং পরিবার যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। আর সমাজ ঠিক হয়ে গেলে রাষ্ট্রও ঠিক হয়ে যাবে। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। কারণ স্ত্রী হচ্ছে ঘরের রাণী। প্রত্যেক আদম সন্তান কর্তা। পুরুষ তার পরিবারের কর্তা আর নারী তার ঘরের কত্রী। আজকে আমাদের মাঝেও এ এ্যানথ্র্যাক্স জীবাণু ছড়ানোর চেষ্টা চলছে যে, পরিবার মানে কেবল স্বামী-স্ত্রী। বাবা-মা, দাদা-দাদী, নানা-নানীর সেখানে কোন স্থান নেই। এভাবে আমিত্বের বিষবাষ্পে জর্জরিত করে পরিবারকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url