সেন্ট্র‍্যাল লন্ডন

লন্ডন আমার প্রাণের খুব কাছের শহর হয়ে থাকবে। কেন? সেন্ট্র‍্যাল লন্ডনের যে কোনো রাস্তার আশ পাশ দিয়ে পথচলতি নজর ঘোরালে মনে হবে - লন্ডনেই আছি তো? নাকি হঠাৎ করে এসপ্ল্যানেড চত্ত্বরে এসে পড়েছি। বা আমাদের সেন্ট্র‍্যাল এভিনিউ। হাইড পার্ক এর মাঝখান দিয়ে হাটতে, হাটতে মনে হবে ময়দানের কথা। রাস্তার নামগুলো যেন আরো বেশী করে মনে করাবে পুরোনো ক্যালকাটার কথা।

কলকাতা নয়, ক্যালকাটা। বিগ বেনের আদলে তৈরী হওয়া কলকাতার ক্লক টাওয়ারটা দেখে আর কার কেমন লাগে জানি না, আমার তো উলটে বিগ বেবেন দেখে বেশ মনে হলো এই তো এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফিরছি। আর সর্বোপরি টাওয়ার ব্রিজের ওপর নীল সাদা রঙ দেখে কেন জানিনা গলার কাছে কি একটা দলা পাকিয়ে উঠলো। মানে ঐ হঠাৎ জানান দেয় একটা কি যেন আছে না। কলকাতায় থাকলে মজা করি। কিন্তু এক কথায় যাকে বলে আইকনিক সেই টাওয়ার ব্রিজের ওপর নীল সাদা দেখে মনে হলো - দেখো, আমরা কিন্তু আগে করেছিলাম, এরা বেমালুম টুকে দিয়েছে।



আসল ঐ সেকেন্ড সিটি অফ দি এম্পায়ারকে যেন সাহেব সুবোরা বড্ড বেশী করে নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে লন্ডনের মতো করতে চেয়েছিলেন। শুনেছি তখনকার দিন্র একমাত্র টেমসের ওপর 'ক্যান্টিলিভার ব্রিজ (পিলারের ভর ছাড়া) ব্রিজ তৈরি হয়েছিল, আর তার আদলেই তৈরি আমাদের হাওড়া ব্রিজ। আমরা, মানে যারা মনে, মনে চিরন্তন ক্যালকাটা বাসীরা সেই ভালোবাসাকেই আঁকড়ে ধরে আছি। থাকবো নাই বা কেন, ইতিহাস বা ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতা বা এগিয়ে যাওয়ার কিন্তু কোনো আড়ি নেই।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url