মানচিত্র ইতিহাস
সর্বপ্রথম মানচিত্র যে কে এঁকেছিলেন, তা তো আর নিশ্চিত করে বলা যায় না। হয়তো আমরা তার কথা জানি-ই না! তবে যাদের কথা বা যে সব মানচিত্রের কথা জানা যায়, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো বলে অনুমান করা হয় ব্যাবিলনের একটা ম্যাপ। সেই মানচিত্রটার আবার একটা গালভরা নামও ছিলো- ইন্ডিগো মুন্ডি। সেটি কবেকার আঁকা? আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে, মানে যীশু খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৬০০ বছর আগে। আর সেই মানচিত্রটি ঠিক আঁকা হয়নি, সেটা ছিলো একটা পোড়ামাটির ফলক। তবে সেটা সবচেয়ে প্রাচীন মানচিত্র হলেও সেটি ছিলো শুধুই ব্যাবিলনের মানচিত্র।
যিনি প্রথম সারা পৃথিবীর মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেন, তার নাম অ্যানাক্সিম্যান্ডার। কিন্তু সমস্যা হলো, তখনো তো সব অঞ্চলের মানুষের সাথে সবার যোগাযোগই ছিলো না। ফলে মানচিত্রটিতেও পৃথিবীর অল্প একটু জায়গাই আসলো, ভূমধ্যসাগর আর কৃষ্ণসাগরের চারপাশের এশিয়া, ইউরোপ আর আফ্রিকার অল্প একটু অঞ্চলই তাতে দেখাতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর এই মানচিত্রটিকে আরেকটু উন্নত করেন হেক্টিয়াস অফ মিলেটাস, তিনি এমনকি এশিয়ার একদম শেষপ্রাণে ভারতের অবস্থানও দেখিয়েছিলেন। দেখিয়েছিলেন মিশরের অবস্থানও। অবশ্য সেসব অবস্থান নির্ণয় যে পুরোপুরি সঠিক ছিলো, তা বলা যায় না।
এরপর মহাবীর আলেকজান্ডারের আমলে তার পুরো সা¤্রাজ্যের একটি মানচিত্র আঁকেন এরাতোসথিনেস। আর তারপর অনেকেই মানচিত্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে থাকেন। আর মানচিত্রে প্রথম বিশাল চীনের অবস্থান নির্ণয় করেন মেরিনাস অফ তায়ার। আর মানচিত্র অঙ্কনের ইতিহাসের আদিযুগের সবশেষ মানচিত্র-আঁকিয়ে ছিলেন টলেমি; এই গ্রিক আবার একাধারে ছিলেন গণিতবিদ-জ্যোতির্বিদ-ভূগোলবিদ।
আর বাংলার মানচিত্র প্রথম আঁকেন কে জানো? বৃটিশ সার্ভেয়ার মেজর জেমস রেনেল। কি চিনতে পারছো না? এই জেমস রেনেলই তো ফকির-সন্ন্যাসীদের দমন করতে গিয়ে তাদের হাতে বেদম মার খেয়েছিলেন! তখনো কিন্তু পৃথিবীর মানচিত্র একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। এমনকি তখনো মানচিত্রে আমেরিকার অবস্থানও দেখানো হয়নি। সত্যি বলতে কি, তখনো তো পৃথিবীর মানুষ ঐ মহাদেশের কথা জানতো-ই না!
এরপর পৃথিবীর মানচিত্রে আরো অনেক গ্রহণ-বর্জন শেষে তবেই পৃথিবীর মানচিত্র আঁকতে পেরেছেন ভূগোলবিদেরা। আর এখন তো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একেবারে পুক্সখানুপুক্সখ হিসাবের মানচিত্রই পাওয়া সম্ভব! আর মানচিত্র জিনিসটাও খুব মজার। কোন দেশ কোথায়, কোন জায়গা কোথায়, কোন নদী কোথায়, আর কোন সাগর কোথায়, সবই এক নিমিষেই দেখে নেয়া যায়।
যিনি প্রথম সারা পৃথিবীর মানচিত্র আঁকার চেষ্টা করেন, তার নাম অ্যানাক্সিম্যান্ডার। কিন্তু সমস্যা হলো, তখনো তো সব অঞ্চলের মানুষের সাথে সবার যোগাযোগই ছিলো না। ফলে মানচিত্রটিতেও পৃথিবীর অল্প একটু জায়গাই আসলো, ভূমধ্যসাগর আর কৃষ্ণসাগরের চারপাশের এশিয়া, ইউরোপ আর আফ্রিকার অল্প একটু অঞ্চলই তাতে দেখাতে পেরেছিলেন তিনি। তাঁর এই মানচিত্রটিকে আরেকটু উন্নত করেন হেক্টিয়াস অফ মিলেটাস, তিনি এমনকি এশিয়ার একদম শেষপ্রাণে ভারতের অবস্থানও দেখিয়েছিলেন। দেখিয়েছিলেন মিশরের অবস্থানও। অবশ্য সেসব অবস্থান নির্ণয় যে পুরোপুরি সঠিক ছিলো, তা বলা যায় না।
এরপর মহাবীর আলেকজান্ডারের আমলে তার পুরো সা¤্রাজ্যের একটি মানচিত্র আঁকেন এরাতোসথিনেস। আর তারপর অনেকেই মানচিত্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে থাকেন। আর মানচিত্রে প্রথম বিশাল চীনের অবস্থান নির্ণয় করেন মেরিনাস অফ তায়ার। আর মানচিত্র অঙ্কনের ইতিহাসের আদিযুগের সবশেষ মানচিত্র-আঁকিয়ে ছিলেন টলেমি; এই গ্রিক আবার একাধারে ছিলেন গণিতবিদ-জ্যোতির্বিদ-ভূগোলবিদ।
আর বাংলার মানচিত্র প্রথম আঁকেন কে জানো? বৃটিশ সার্ভেয়ার মেজর জেমস রেনেল। কি চিনতে পারছো না? এই জেমস রেনেলই তো ফকির-সন্ন্যাসীদের দমন করতে গিয়ে তাদের হাতে বেদম মার খেয়েছিলেন! তখনো কিন্তু পৃথিবীর মানচিত্র একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে। এমনকি তখনো মানচিত্রে আমেরিকার অবস্থানও দেখানো হয়নি। সত্যি বলতে কি, তখনো তো পৃথিবীর মানুষ ঐ মহাদেশের কথা জানতো-ই না!
এরপর পৃথিবীর মানচিত্রে আরো অনেক গ্রহণ-বর্জন শেষে তবেই পৃথিবীর মানচিত্র আঁকতে পেরেছেন ভূগোলবিদেরা। আর এখন তো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একেবারে পুক্সখানুপুক্সখ হিসাবের মানচিত্রই পাওয়া সম্ভব! আর মানচিত্র জিনিসটাও খুব মজার। কোন দেশ কোথায়, কোন জায়গা কোথায়, কোন নদী কোথায়, আর কোন সাগর কোথায়, সবই এক নিমিষেই দেখে নেয়া যায়।