কলকাতা পৌরসংস্থা
একটি রাজকীয় সনদের মাধ্যমে একজন মেয়র ও নয়জন অল্ডারম্যানকে নিয়ে ১৭২৬-এর ৪-ঠা সেপ্টেম্বর প্রথম পৌর নিগম গড়ে ওঠে। অবশ্য প্রাথমিকভাবে এই নিগমের প্রধান কাজ ছিল মেয়রের আদালত হিসেবে আইন সংক্রান্ত কাজকর্ম সম্পাদন। তখনও কিছু জমিদারের হাতেই কোলকাতার প্রশাসনভার ন্যস্ত ছিল এবং তাকে সহায়তা করার জন্য ছিলেন একজন কৃষ্ণবর্ণ জমিদার। ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সঙ্গতি রাখার উদ্দেশ্যে ১৭৬৩-তে আরেকটি রাজকীয় সনদের দ্বারা এই নাগরিক সংস্থাটির ক্ষমতা ও দায়িত্ব পূনঃনির্ধারিত হয়।
দীপ প্রজ্বালন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, নিষ্কাশন পরিষেবার সম্প্রসারণ, সড়ক, পয়ঃপ্রণালী নির্মাণ এবং পানীয় জল সরবরাহের জন্য দীঘি খনন ইত্যাদি শহর-পরিসর বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ ফল। ১৭৫৭ থেকে ১৮০০-র মধ্যে ময়দান পরিষ্করণ, বর্তমান অবস্থানে ফোর্ট উইলিয়াম নির্মাণ ও চৌরঙ্গীতে ইউরোপীয়দের বাসস্থান সম্প্রসারণ-এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছিল।
১৭৯৭ সালে সনদের অধীনে নগরের পরিচালন ব্যবস্থা ‘জাস্টিস অব পীস'-এর হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৭৯৪ থেকে ১৮৭৬ পর্বে এই জাস্টিস-দের চেয়ারম্যান পৌরসভার কর নির্ধারণ বিভাগ, কার্যনির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ সংক্রান্ত দপ্তর- এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সহ নগরপালের দায়িত্বপালন করতেন। ১৭৯৩ সাল থেকে নগরের উন্নয়নের জন্য লটারির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার প্রথা সূত্রপাত হয়েছিল। যতদিন পর্যন্ত টাউন ইম্প্রুভমেন্ট কমিটির অস্তিত্ব ছিল এই তহবিলের কিছু অংশ তাঁদের কার্যকলাপের জন্য নিয়োজিত হত। ১৮১৭ সালে লটারি কমিটি গঠিত হয়। টাউন হল, বেলিয়াঘাটা ক্যানাল ও অনেকগুলো রাস্তা তৈরির জন্যে আমরা এঁদের কাছে ঋণী।
করনির্ধারণের প্রক্রিয়ায় করদাতাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ১৮৪০ সালে একটি আইন প্রণীত হয়। তবে ঐ পদক্ষেপটি আর বেশিদূর অগ্রসর হয়নি। সুতরাং ১৮৪৭ সালে একটি নতুন আইন প্রণীত হয় সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠনের সংস্থান সহ চার জন নির্বাচিত সদস্য রাখার কথা হয়। ১৮৫২ সালের একটি আইনবলে বোর্ডের মোট সদস্যসংখ্যা হ্রাস করে চারজন করা হয়-দুজন সরকার নির্বাচিত এবং বাকি দুজন নির্বাচিত। ১৮৫৬ সালে এই সংখ্যাটি আরও একবার হ্রাস করে তিনজন করা হয় যাদের ‘সকলেই লেফটানেন্ট গভর্ণরের দ্বারা নির্বাচিত হবে বলে স্থির করা হয়।
১৮৬৩ সালে কোলকাতার সকল জাস্টিস অব পীস-এর সদস্য তৎসহ প্রদেশগুলির জাস্টিসগণ যারা ঘটনাচক্রে কোলকাতার বাসিন্দা- তাঁদের সকলকে নিয়ে গঠিত সঙ্ঘের হাতে পৌরশাসনের ভার ন্যস্ত হয়। এই সঙ্ঘ তাঁদের নিজেদের ভাইস-চেয়ারম্যান-কে নির্বাচিত করতো। এঁদের স্থায়ী স্বাস্থ্যআধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভে্যার, কর সংগ্রাহক ও করনির্ধারক ছিল। অতঃপর জন্মের জন্য শুল্ক নির্ধারিত হয় এবং সর্বাধিক দশ শতাংশ হারে গৃহ-কর বৃদ্ধি করা হয়। জলসরবরাহ ও পয়ঃপ্রনালী তথা নিকাশি ব্যবস্থার পত্তন করা ছাড়াও তাঁরা নিউ মার্কেট (১৮৭৪) এবং পৌর কসাই খানা নির্মাণ করেন।
ক্যালকাটা মিউনিসিপাল কনসোলিডেশন অ্যাক্ট ১৮৭৬ পাশ করার মধ্য দিয়ে একজন চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান সহ ৭২ কমিশনার সমন্বিত একটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ৪৮ জন কমিশনার করদাতাদের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং ২৪ জন সরকার কতৃ্ক নিযুক্ত হন। ১৮৮৮ সালে লোয়ার সার্কুলার রোডের পূর্ব ও দক্ষিণদিকে অবস্থিত শহরতলি এলাকা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পৌর এলাকার সীমানা বর্ধিত করা হয়। সাতটি ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং শহরের উত্তর দিকে তিনটি অন্য ওয়ার্ডে সংযোজন ঘটানো হয়। মিউনিসিপাল কমিশানরদের সংখ্যাবৃদ্ধি করে ৭৫ জন করা হয়। যার মধ্যে ৫০ জন হল নির্বাচিত, ১৫ জন সরকার নিযুক্ত এবং ১০ জন চেম্বার অব কমার্স, দ্য ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েশন ও দ্য পোর্ট কমিশনরস কতৃক মনোনীত।
১৯২৩ সালের ক্যালকাটা মিউনিসিপাল অ্যাক্ট এর রুপকার তথা বাংলার স্থানীয় স্বায়ত্বশাসনের প্রথম মন্ত্রী শ্রী সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী কতৃক প্রতি বছর মেয়র নির্বাচিত করার ব্যবস্থা রুপায়নের মধ্য দিয়ে কলকাতায় পৌর প্রশাসনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা ঘটে। মহিলাদের ভোটাধিকার ছিল একটি প্রধান সংস্কার। সংলগ্ন কাশীপুর, মানিকতলা, চিৎপুর ও গার্ডেনরিচ মিউনিসিপালিটি কোলকাতার সাথে সংযুক্ত হয়। পরবর্তীকালে গার্ডেনরিচ পৃথক করা হয়। চিত্তরঞ্জন দাশ প্রথম নির্বাচিত মেয়র এবং সুভাষ চন্দ্র বসু হন তার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে রাজ্য সরকার কতৃক কর্পোরেশনেরঃ দায়িত্বভার হাতে নেওয়া পর্যন্ত এই আইনের অধীনেই শহরের প্রশাসন পরিচালিত হত।
কোলকাতা পুর আইন, ১৯৫১, যা পয়লা মে ১৯৫২ থেকে চালু হয়, এবং তার ফলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই কর্পোরেশন নীতি নির্ধারণ, নির্দেশপত্র ও নিয়মাবলী রূপায়িত করার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা দিল এবং নির্বাহী বিষয়গুলি যথাসম্ভব দায়িত্বভার কমিশনারের উপর ন্যস্ত করা হল। ৭৬ জন কাউন্সিলর আঞ্চলিক নির্বাচনক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত হলেন। কোলকাতা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্টের সভাপতিকে পদাধিকারবলে কাউন্সিলর করা হয়।
১৯৬২ সালে পৌর নির্বাচনে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার চালু করা হয়। ১৯৫৩ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে টালিগঞ্জ এর সাথে যুক্ত হয়। ১৯৫১ সালের আইনের মাধ্যমে একজন নির্বাচিত মেয়র, একজন ডেপুটি মেয়র এবং কাউন্সিলরদের দ্বারা নির্বাচিত ৫ জন অল্ডারম্যান নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়। সমন্বয়কারী তিন কতৃপক্ষ হল কর্পোরেশন, স্থায়ী সমিতি, কমিশনার।
কোলকাতা পৌর নিগম আইন, ১৯৮০- যা জানুয়ারি ১৯৮৪ থেকে কার্যকারী হয়, সেই অনুসারে এই কর্পোরেশন পুরনো পথ থেকে সরে এসে একটি যথার্থ স্বশাসিত ও নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে সরাসরি দায়ী থাকা কর্পোরেশন হিসেবে দৃঢ়তার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে। মন্ত্রীসভা পরিচালিত সরকারের মতো মেয়র পারিষদ ‘শক্তিশালী মেয়র' এর ধারনাকে সম্ভবপর করে। সর্বক্ষণের একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়াও গণতান্ত্রিক বিধিগুলির আদর্শ পূর্ণমাত্রায় বজায় রেখে এই আইন তিন প্রকার কতৃপক্ষ সৃষ্টি করে- কর্পোরেশন, মেয়র পারিষদ ও মেয়র।
যাদবপুর, দক্ষিণ শহরতলি, গার্ডেনরিচ ও জোকা- পূর্বতন এই পুরসভাগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মোট সংখ্যা হয়েছে ১৪৪। মাঝে মাঝেই করদাতাদের উন্নয়নকল্পে তাঁদের চাহিদা অনুসারে এই আইনের সংশোধন করা হয়।
দীপ প্রজ্বালন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, নিষ্কাশন পরিষেবার সম্প্রসারণ, সড়ক, পয়ঃপ্রণালী নির্মাণ এবং পানীয় জল সরবরাহের জন্য দীঘি খনন ইত্যাদি শহর-পরিসর বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ ফল। ১৭৫৭ থেকে ১৮০০-র মধ্যে ময়দান পরিষ্করণ, বর্তমান অবস্থানে ফোর্ট উইলিয়াম নির্মাণ ও চৌরঙ্গীতে ইউরোপীয়দের বাসস্থান সম্প্রসারণ-এর মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছিল।
১৭৯৭ সালে সনদের অধীনে নগরের পরিচালন ব্যবস্থা ‘জাস্টিস অব পীস'-এর হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৭৯৪ থেকে ১৮৭৬ পর্বে এই জাস্টিস-দের চেয়ারম্যান পৌরসভার কর নির্ধারণ বিভাগ, কার্যনির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ সংক্রান্ত দপ্তর- এর মুখ্য কার্যনির্বাহী সহ নগরপালের দায়িত্বপালন করতেন। ১৭৯৩ সাল থেকে নগরের উন্নয়নের জন্য লটারির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার প্রথা সূত্রপাত হয়েছিল। যতদিন পর্যন্ত টাউন ইম্প্রুভমেন্ট কমিটির অস্তিত্ব ছিল এই তহবিলের কিছু অংশ তাঁদের কার্যকলাপের জন্য নিয়োজিত হত। ১৮১৭ সালে লটারি কমিটি গঠিত হয়। টাউন হল, বেলিয়াঘাটা ক্যানাল ও অনেকগুলো রাস্তা তৈরির জন্যে আমরা এঁদের কাছে ঋণী।
করনির্ধারণের প্রক্রিয়ায় করদাতাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ১৮৪০ সালে একটি আইন প্রণীত হয়। তবে ঐ পদক্ষেপটি আর বেশিদূর অগ্রসর হয়নি। সুতরাং ১৮৪৭ সালে একটি নতুন আইন প্রণীত হয় সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠনের সংস্থান সহ চার জন নির্বাচিত সদস্য রাখার কথা হয়। ১৮৫২ সালের একটি আইনবলে বোর্ডের মোট সদস্যসংখ্যা হ্রাস করে চারজন করা হয়-দুজন সরকার নির্বাচিত এবং বাকি দুজন নির্বাচিত। ১৮৫৬ সালে এই সংখ্যাটি আরও একবার হ্রাস করে তিনজন করা হয় যাদের ‘সকলেই লেফটানেন্ট গভর্ণরের দ্বারা নির্বাচিত হবে বলে স্থির করা হয়।
১৮৬৩ সালে কোলকাতার সকল জাস্টিস অব পীস-এর সদস্য তৎসহ প্রদেশগুলির জাস্টিসগণ যারা ঘটনাচক্রে কোলকাতার বাসিন্দা- তাঁদের সকলকে নিয়ে গঠিত সঙ্ঘের হাতে পৌরশাসনের ভার ন্যস্ত হয়। এই সঙ্ঘ তাঁদের নিজেদের ভাইস-চেয়ারম্যান-কে নির্বাচিত করতো। এঁদের স্থায়ী স্বাস্থ্যআধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভে্যার, কর সংগ্রাহক ও করনির্ধারক ছিল। অতঃপর জন্মের জন্য শুল্ক নির্ধারিত হয় এবং সর্বাধিক দশ শতাংশ হারে গৃহ-কর বৃদ্ধি করা হয়। জলসরবরাহ ও পয়ঃপ্রনালী তথা নিকাশি ব্যবস্থার পত্তন করা ছাড়াও তাঁরা নিউ মার্কেট (১৮৭৪) এবং পৌর কসাই খানা নির্মাণ করেন।
ক্যালকাটা মিউনিসিপাল কনসোলিডেশন অ্যাক্ট ১৮৭৬ পাশ করার মধ্য দিয়ে একজন চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান সহ ৭২ কমিশনার সমন্বিত একটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ৪৮ জন কমিশনার করদাতাদের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং ২৪ জন সরকার কতৃ্ক নিযুক্ত হন। ১৮৮৮ সালে লোয়ার সার্কুলার রোডের পূর্ব ও দক্ষিণদিকে অবস্থিত শহরতলি এলাকা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পৌর এলাকার সীমানা বর্ধিত করা হয়। সাতটি ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং শহরের উত্তর দিকে তিনটি অন্য ওয়ার্ডে সংযোজন ঘটানো হয়। মিউনিসিপাল কমিশানরদের সংখ্যাবৃদ্ধি করে ৭৫ জন করা হয়। যার মধ্যে ৫০ জন হল নির্বাচিত, ১৫ জন সরকার নিযুক্ত এবং ১০ জন চেম্বার অব কমার্স, দ্য ট্রেডারস অ্যাসোসিয়েশন ও দ্য পোর্ট কমিশনরস কতৃক মনোনীত।
১৯২৩ সালের ক্যালকাটা মিউনিসিপাল অ্যাক্ট এর রুপকার তথা বাংলার স্থানীয় স্বায়ত্বশাসনের প্রথম মন্ত্রী শ্রী সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী কতৃক প্রতি বছর মেয়র নির্বাচিত করার ব্যবস্থা রুপায়নের মধ্য দিয়ে কলকাতায় পৌর প্রশাসনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সূচনা ঘটে। মহিলাদের ভোটাধিকার ছিল একটি প্রধান সংস্কার। সংলগ্ন কাশীপুর, মানিকতলা, চিৎপুর ও গার্ডেনরিচ মিউনিসিপালিটি কোলকাতার সাথে সংযুক্ত হয়। পরবর্তীকালে গার্ডেনরিচ পৃথক করা হয়। চিত্তরঞ্জন দাশ প্রথম নির্বাচিত মেয়র এবং সুভাষ চন্দ্র বসু হন তার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে রাজ্য সরকার কতৃক কর্পোরেশনেরঃ দায়িত্বভার হাতে নেওয়া পর্যন্ত এই আইনের অধীনেই শহরের প্রশাসন পরিচালিত হত।
কোলকাতা পুর আইন, ১৯৫১, যা পয়লা মে ১৯৫২ থেকে চালু হয়, এবং তার ফলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই কর্পোরেশন নীতি নির্ধারণ, নির্দেশপত্র ও নিয়মাবলী রূপায়িত করার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা দিল এবং নির্বাহী বিষয়গুলি যথাসম্ভব দায়িত্বভার কমিশনারের উপর ন্যস্ত করা হল। ৭৬ জন কাউন্সিলর আঞ্চলিক নির্বাচনক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত হলেন। কোলকাতা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্টের সভাপতিকে পদাধিকারবলে কাউন্সিলর করা হয়।
১৯৬২ সালে পৌর নির্বাচনে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার চালু করা হয়। ১৯৫৩ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে টালিগঞ্জ এর সাথে যুক্ত হয়। ১৯৫১ সালের আইনের মাধ্যমে একজন নির্বাচিত মেয়র, একজন ডেপুটি মেয়র এবং কাউন্সিলরদের দ্বারা নির্বাচিত ৫ জন অল্ডারম্যান নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়। সমন্বয়কারী তিন কতৃপক্ষ হল কর্পোরেশন, স্থায়ী সমিতি, কমিশনার।
কোলকাতা পৌর নিগম আইন, ১৯৮০- যা জানুয়ারি ১৯৮৪ থেকে কার্যকারী হয়, সেই অনুসারে এই কর্পোরেশন পুরনো পথ থেকে সরে এসে একটি যথার্থ স্বশাসিত ও নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে সরাসরি দায়ী থাকা কর্পোরেশন হিসেবে দৃঢ়তার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছে। মন্ত্রীসভা পরিচালিত সরকারের মতো মেয়র পারিষদ ‘শক্তিশালী মেয়র' এর ধারনাকে সম্ভবপর করে। সর্বক্ষণের একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়াও গণতান্ত্রিক বিধিগুলির আদর্শ পূর্ণমাত্রায় বজায় রেখে এই আইন তিন প্রকার কতৃপক্ষ সৃষ্টি করে- কর্পোরেশন, মেয়র পারিষদ ও মেয়র।
যাদবপুর, দক্ষিণ শহরতলি, গার্ডেনরিচ ও জোকা- পূর্বতন এই পুরসভাগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মোট সংখ্যা হয়েছে ১৪৪। মাঝে মাঝেই করদাতাদের উন্নয়নকল্পে তাঁদের চাহিদা অনুসারে এই আইনের সংশোধন করা হয়।