নিউ ইয়র্ক ম্যারাথন নিছক দৌড় নয়
পৃথিবীতে যত বড় বড় ইভেন্ট হয়ে থাকে, তার মধ্যে নিউইয়র্ক ম্যারাথন একটি। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের প্রথম রোববার এই প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই হিসাবে এ বছর প্রতিযোগিতা হবে ১ নভেম্বর। ২০১৪ সালে ৫০ হাজার ৫৩০ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ-নিয়েছিলেন। সারা পৃথিবী থেকে হাজার হাজার লোক এই ম্যারাথনে অংশ নিতে আবেদন করেন। তবে সবাই এই ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান না।
আন্তর্জাতিকমানের দৌড়বিদ হিসেবে যাদের র্যাঙ্কিং আছে, নিউইয়র্ক ম্যারাথনে তারাই সরাসরি দৌড়ানোর সুযোগ পান। কিছু লোককে লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে লটারিতে অংশ নিতে সারা বিশ্ব থেকে ৮০ হাজার ৮০ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৩২৬ জনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার জন বেশি।
প্রথম নিউইয়র্ক ম্যারাথন শুরু হয় ১৯৭০ সালে। এতে অংশ নেন এক শ ২৭ জন প্রতিযোগী। এর মধ্যে ৫৫ জন দৌড় শেষ করতে পেরেছিলেন। একমাত্র নারী প্রতিযোগী অসুস্থতার কারণে দৌড় শেষ করতে পারেননি। এন্ট্রি ফি হিসেবে প্রতি প্রতিযোগীর কাছ থেকে এক ডলার করে নেওয়া হয়। আর প্রাইজ হিসেবে দেওয়া হয় একটি হাত ঘড়ি। যার বাজার মূল্য তেমন একটা ছিল না। আর এ বছর এন্ট্রি ফি হলো দুই শ ১৬ ডলার আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীদের জন্য এন্ট্রি ফি হলো তিন শ ৪৭ ডলার। আর এখন প্রাইজমানি হলো প্রথম পুরস্কার এক লাখ ডলার (ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগে)।
১৯৭০ সালে যখন এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় তখন প্রতিযোগীরা শুধু সেন্ট্রাল পার্কের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে ২৬.২ মাইলের এই দৌড় সম্পন্ন করেন। আর এখন ম্যারাথনের পথ পাঁচটা। বরো-স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, ব্রুকলিন, কুইন্স, ব্রঙ্কস ও ম্যানহাটনের মধ্যে দিয়ে। এই দীর্ঘ পথ সমতল নয়, প্রতিযোগীদের উঁচু-নিচু পথের মধ্যে পাঁচটা লম্বা সেতু অতিক্রম করতে হয়। প্রতিযোগিতা শুরু হয় স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের ভেরাজোনা সেতুর গোড়া থেকে আর শেষ হয় ম্যানহাটনের সেন্ট্রাল পার্কে।
প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবন্ধী হুইল চেয়ারে করে দৌড়ে অংশ নিয়ে থাকেন। বেশ কিছু দৃষ্টিহীনও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। যারা চোখে দেখতে পান না তাদের জন্য এতটা পথ দৌড়ানো খুবই বিপজ্জনক। তাদের আরেকজন স্বাভাবিক দৌড়বিদের সঙ্গে একটি ফিতা-দিয়ে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। যাতে করে দৌড়ানোর সময় তারা পড়ে না যান। প্রয়োজনে পানি পান করতে অথবা টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন। সাহায্যকারীরা এদের জন্য রাস্তায় পড়ে থাকা খালি কাপ বা অন্য কিছু থাকলে তাও সরিয়ে দেন। যাতে ওই সব জিনিসে তাদের পা পিছলে না যায়।
সারা পৃথিবীর মিডিয়াতে এর প্রচার পায়। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলি নিশ্চয়ই এই প্রতিযোগিতার ফুটেজ প্রচার করবে। গত বছর যারা এই দৌড় শেষ করেছেন সেই তালিকায়, এমনকি অংশগ্রহণকারীর তালিকাতেও কোনো বাংলাদেশির নাম নেই।
নিউইয়র্ক ম্যারাথন এখন আর নিছক কোনো একটি ম্যারাথন দৌড় নয়। এটি একটি ইতিহাস ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যারাথন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই একটি মর্যাদার বিষয়। হাজার হাজার প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা যারা মানবতার জন্য কাজ করে তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোক যখন একসঙ্গে দৌড় শুরু করেন তখন এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা হয়। সারা পৃথিবীর মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিবছর এই ম্যারাথন আর নিউইয়র্ক ম্যারাথন থাকে না, এটি হয়ে ওঠে বিশ্ব ম্যারাথন, হয়ে ওঠে মানুষের মিলনমেলা। লাখ লাখ লোক রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেন।
আন্তর্জাতিকমানের দৌড়বিদ হিসেবে যাদের র্যাঙ্কিং আছে, নিউইয়র্ক ম্যারাথনে তারাই সরাসরি দৌড়ানোর সুযোগ পান। কিছু লোককে লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে লটারিতে অংশ নিতে সারা বিশ্ব থেকে ৮০ হাজার ৮০ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৩২৬ জনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার জন বেশি।
প্রথম নিউইয়র্ক ম্যারাথন শুরু হয় ১৯৭০ সালে। এতে অংশ নেন এক শ ২৭ জন প্রতিযোগী। এর মধ্যে ৫৫ জন দৌড় শেষ করতে পেরেছিলেন। একমাত্র নারী প্রতিযোগী অসুস্থতার কারণে দৌড় শেষ করতে পারেননি। এন্ট্রি ফি হিসেবে প্রতি প্রতিযোগীর কাছ থেকে এক ডলার করে নেওয়া হয়। আর প্রাইজ হিসেবে দেওয়া হয় একটি হাত ঘড়ি। যার বাজার মূল্য তেমন একটা ছিল না। আর এ বছর এন্ট্রি ফি হলো দুই শ ১৬ ডলার আর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীদের জন্য এন্ট্রি ফি হলো তিন শ ৪৭ ডলার। আর এখন প্রাইজমানি হলো প্রথম পুরস্কার এক লাখ ডলার (ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগে)।
১৯৭০ সালে যখন এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় তখন প্রতিযোগীরা শুধু সেন্ট্রাল পার্কের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে ২৬.২ মাইলের এই দৌড় সম্পন্ন করেন। আর এখন ম্যারাথনের পথ পাঁচটা। বরো-স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, ব্রুকলিন, কুইন্স, ব্রঙ্কস ও ম্যানহাটনের মধ্যে দিয়ে। এই দীর্ঘ পথ সমতল নয়, প্রতিযোগীদের উঁচু-নিচু পথের মধ্যে পাঁচটা লম্বা সেতু অতিক্রম করতে হয়। প্রতিযোগিতা শুরু হয় স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের ভেরাজোনা সেতুর গোড়া থেকে আর শেষ হয় ম্যানহাটনের সেন্ট্রাল পার্কে।
প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবন্ধী হুইল চেয়ারে করে দৌড়ে অংশ নিয়ে থাকেন। বেশ কিছু দৃষ্টিহীনও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। যারা চোখে দেখতে পান না তাদের জন্য এতটা পথ দৌড়ানো খুবই বিপজ্জনক। তাদের আরেকজন স্বাভাবিক দৌড়বিদের সঙ্গে একটি ফিতা-দিয়ে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। যাতে করে দৌড়ানোর সময় তারা পড়ে না যান। প্রয়োজনে পানি পান করতে অথবা টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন। সাহায্যকারীরা এদের জন্য রাস্তায় পড়ে থাকা খালি কাপ বা অন্য কিছু থাকলে তাও সরিয়ে দেন। যাতে ওই সব জিনিসে তাদের পা পিছলে না যায়।
সারা পৃথিবীর মিডিয়াতে এর প্রচার পায়। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলি নিশ্চয়ই এই প্রতিযোগিতার ফুটেজ প্রচার করবে। গত বছর যারা এই দৌড় শেষ করেছেন সেই তালিকায়, এমনকি অংশগ্রহণকারীর তালিকাতেও কোনো বাংলাদেশির নাম নেই।
নিউইয়র্ক ম্যারাথন এখন আর নিছক কোনো একটি ম্যারাথন দৌড় নয়। এটি একটি ইতিহাস ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যারাথন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই একটি মর্যাদার বিষয়। হাজার হাজার প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা যারা মানবতার জন্য কাজ করে তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোক যখন একসঙ্গে দৌড় শুরু করেন তখন এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা হয়। সারা পৃথিবীর মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিবছর এই ম্যারাথন আর নিউইয়র্ক ম্যারাথন থাকে না, এটি হয়ে ওঠে বিশ্ব ম্যারাথন, হয়ে ওঠে মানুষের মিলনমেলা। লাখ লাখ লোক রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেন।