নাইট-ক্লাব ও ডিজে-পার্টি
কথিত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ডিজে পার্টি, নাইট ক্লাব, নেশার আড্ডার সাথে দেহব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী সহ সারাদেশে। তবে এসব ব্যবসার অন্যতম লক্ষ্য হলো মাদক ব্যবসা ও সেবন। এদের ৯১ শতাংশই কিশোর ও তরুণ। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ১০ জন তরুণী ও মহিলা। মাদকাসক্ত নারীর অধিকাংশই স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
প্রবেশ পথে লেখা ‘২১+ অনলি’। ভেতরে হালকা নীলচে আলো, লাল, হলুদ ডিম লাইট। বাজছে ইংরেজি গান, চলছে মাদক সেবন আর নারী-পুরুষের নৃত্য। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেখানে শিশা, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, মদসহ সব ধরনের মাদক সরবরাহ করা হয়।
বদলে যাওয়া সময়ের এক নতুন সংস্কৃতি ‘ডিজে পার্টি’। বড় বড় অভিজাত হোটলেই এখন কেবল ডিজে পার্টি সীমিত নেই, নানা জায়গায় গড়ে উঠেছে ডিজে ক্লাব। এইসব ক্লাব হোটেলের ডিজে পার্টির আকর্ষণ হলো চিয়ার্স গার্লরা। বিরাট হলরুম, বয় সারাউন্ড স্পিকারগুলোতে বিটের তাল মন-প্রাণ চঞ্চল করে তোলে। সেখানেই মিনি বারে বিয়ার এবং হার্ড ড্রিংকসের হরদম সরবরাহ হচ্ছে। গ্লাস বা বিয়ারের ক্যান নিয়ে অনেকেই চলে আসছেন ড্যান্স ফ্লোরে। স্বল্প বসনা উচ্চবিত্ত ঘরের তরুণ-তরুণীর উপচেপড়া ভিড় ড্যান্স ফ্লোরে।
রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমে উঠছে পার্টি। অভিযোগ রয়েছে, মাদক পানীয় নির্ভর এসব পার্টিতে অংশগ্রহণে বয়সের কোনো বাছ-বিচার নেই। যে কোনো বয়সের লোকজন, এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও অনায়াসেই অংশ নিতে পারে উন্মাতাল পার্টিগুলোতে। মানুষ একটু বিনোদনের জন্য আমাদের এখানে আসে। শুধু তরুণ-তরুণীরাই নয়, এখানে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি থেকে সমাজের সম্মানিত অনেক ব্যক্তি এ ক্লাবের সদস্য।
মিনি স্কার্ট, টাইট জিন্স, পাতলা টি-শার্ট পরে ডিজে পার্টি জমিয়ে রাখা এসব চিয়ার্স গার্লদের ক্লাব বা হোটেলের মালিক পক্ষই নিয়োগ করে থাকে। কেউ স্থায়ী, কেউ অস্থায়ী। স্থায়ীরা চুক্তিভিত্তিক টাকা পায়, আর যারা অস্থায়ী তারা ‘পার নাইট’ হিসেবে টাকা নেয়। ডিজে পার্টিতে ড্যান্সের পাশাপাশি চিয়ার্সগার্লরা দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। অভিজাত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের অনেকেই গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে ডিজে পার্টিতে আসে। আবার অনেকে আসে একাকী। একাকী যারা আসে, তাদের জন্যই পার্টিতে থাকে চিয়ার্স গার্লরা।
পয়সাওয়ালা পুরুষরাই থাকে চিয়ার্স গার্লদের মূল টার্গেট। নাচের নামে একটু একটু করে বাড়ায় ঘনিষ্ঠতা। পার্টনার হওয়ার দর কষাকষি। একই সাথে জেনে নেয়, ইয়াবা নেয় কিনা? উত্তর যদি পজেটিভ হয় তাহলে তো পোয়াবারো। খুলে গেল তার ব্যবসার নতুন দুয়ার। পেয়ে গেল সে নিয়মিত খদ্দের। ওয়েস্টার্ণ পোশাক পরে ডিজে পার্টিতে অংশ নিলেও চিয়ার্স গার্লরা শুধু উচ্চবিত্ত পরিবারেরই নয়, এদের বেশির ভাগই মফস্বল থেকে আসা অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে। অনেকেই আবার স্বপ্ন দেখে মিডিয়ায় জায়গা করে নেয়ার। এসব বার ও ডিজে পার্টি ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের বড় পয়েন্ট। বিকেল থেকে সারা রাত এখানে থাকে তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।
নাচ, গান আর যৌনতায় ফুওয়াং ক্লাব পরিণত হয় মধুকুঞ্জে। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে আগতদের বেশির ভাগের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ক্লাবের দোতলায় রয়েছে ৫টি রুম। এগুলোকে ডিসকো রুম হিসেবে ডাকা হয়। রুমগুলোতে নানা রঙিন আলো। দু’দিকে সোফা বসানো। মাঝখানে উচ্চ শব্দের হিন্দি মিউজিকের তালে তালে পালা করে নাচছে স্বল্প বসনা অর্থাৎ নগ্ন-অর্ধনগ্ন তরুণীরা। প্রতিটি নাচের ভঙ্গিই অশ্লীল। রুমগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। সোফার সামনে সারি করে রাখা মদের বোতল, গ্লাস আর বরফের টুকরো। মদপান করছেন দর্শকরা। নাচে মুগ্ধ সবাই। রাত গভীর হতেই তরুণীর সংখ্যা কমতে থাকে। যেতে থাকেন ভিন্ন ভিন্ন রুমে।
প্রবেশ পথে লেখা ‘২১+ অনলি’। ভেতরে হালকা নীলচে আলো, লাল, হলুদ ডিম লাইট। বাজছে ইংরেজি গান, চলছে মাদক সেবন আর নারী-পুরুষের নৃত্য। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেখানে শিশা, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, মদসহ সব ধরনের মাদক সরবরাহ করা হয়।
বদলে যাওয়া সময়ের এক নতুন সংস্কৃতি ‘ডিজে পার্টি’। বড় বড় অভিজাত হোটলেই এখন কেবল ডিজে পার্টি সীমিত নেই, নানা জায়গায় গড়ে উঠেছে ডিজে ক্লাব। এইসব ক্লাব হোটেলের ডিজে পার্টির আকর্ষণ হলো চিয়ার্স গার্লরা। বিরাট হলরুম, বয় সারাউন্ড স্পিকারগুলোতে বিটের তাল মন-প্রাণ চঞ্চল করে তোলে। সেখানেই মিনি বারে বিয়ার এবং হার্ড ড্রিংকসের হরদম সরবরাহ হচ্ছে। গ্লাস বা বিয়ারের ক্যান নিয়ে অনেকেই চলে আসছেন ড্যান্স ফ্লোরে। স্বল্প বসনা উচ্চবিত্ত ঘরের তরুণ-তরুণীর উপচেপড়া ভিড় ড্যান্স ফ্লোরে।
রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমে উঠছে পার্টি। অভিযোগ রয়েছে, মাদক পানীয় নির্ভর এসব পার্টিতে অংশগ্রহণে বয়সের কোনো বাছ-বিচার নেই। যে কোনো বয়সের লোকজন, এমনকি কিশোর-কিশোরীরাও অনায়াসেই অংশ নিতে পারে উন্মাতাল পার্টিগুলোতে। মানুষ একটু বিনোদনের জন্য আমাদের এখানে আসে। শুধু তরুণ-তরুণীরাই নয়, এখানে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি থেকে সমাজের সম্মানিত অনেক ব্যক্তি এ ক্লাবের সদস্য।
মিনি স্কার্ট, টাইট জিন্স, পাতলা টি-শার্ট পরে ডিজে পার্টি জমিয়ে রাখা এসব চিয়ার্স গার্লদের ক্লাব বা হোটেলের মালিক পক্ষই নিয়োগ করে থাকে। কেউ স্থায়ী, কেউ অস্থায়ী। স্থায়ীরা চুক্তিভিত্তিক টাকা পায়, আর যারা অস্থায়ী তারা ‘পার নাইট’ হিসেবে টাকা নেয়। ডিজে পার্টিতে ড্যান্সের পাশাপাশি চিয়ার্সগার্লরা দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। অভিজাত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেদের অনেকেই গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে ডিজে পার্টিতে আসে। আবার অনেকে আসে একাকী। একাকী যারা আসে, তাদের জন্যই পার্টিতে থাকে চিয়ার্স গার্লরা।
পয়সাওয়ালা পুরুষরাই থাকে চিয়ার্স গার্লদের মূল টার্গেট। নাচের নামে একটু একটু করে বাড়ায় ঘনিষ্ঠতা। পার্টনার হওয়ার দর কষাকষি। একই সাথে জেনে নেয়, ইয়াবা নেয় কিনা? উত্তর যদি পজেটিভ হয় তাহলে তো পোয়াবারো। খুলে গেল তার ব্যবসার নতুন দুয়ার। পেয়ে গেল সে নিয়মিত খদ্দের। ওয়েস্টার্ণ পোশাক পরে ডিজে পার্টিতে অংশ নিলেও চিয়ার্স গার্লরা শুধু উচ্চবিত্ত পরিবারেরই নয়, এদের বেশির ভাগই মফস্বল থেকে আসা অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে। অনেকেই আবার স্বপ্ন দেখে মিডিয়ায় জায়গা করে নেয়ার। এসব বার ও ডিজে পার্টি ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের বড় পয়েন্ট। বিকেল থেকে সারা রাত এখানে থাকে তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।
নাচ, গান আর যৌনতায় ফুওয়াং ক্লাব পরিণত হয় মধুকুঞ্জে। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে আগতদের বেশির ভাগের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ক্লাবের দোতলায় রয়েছে ৫টি রুম। এগুলোকে ডিসকো রুম হিসেবে ডাকা হয়। রুমগুলোতে নানা রঙিন আলো। দু’দিকে সোফা বসানো। মাঝখানে উচ্চ শব্দের হিন্দি মিউজিকের তালে তালে পালা করে নাচছে স্বল্প বসনা অর্থাৎ নগ্ন-অর্ধনগ্ন তরুণীরা। প্রতিটি নাচের ভঙ্গিই অশ্লীল। রুমগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। সোফার সামনে সারি করে রাখা মদের বোতল, গ্লাস আর বরফের টুকরো। মদপান করছেন দর্শকরা। নাচে মুগ্ধ সবাই। রাত গভীর হতেই তরুণীর সংখ্যা কমতে থাকে। যেতে থাকেন ভিন্ন ভিন্ন রুমে।