কান চলচ্চিত্র উৎসব
১৯৪৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরার প্রমোদকেন্দ্র কান শহরে প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এটি ১৯৩৯ সালেই শুরু হবার কথা ছিল। ১৯৩২ সালে ভেনিসে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তারপর এটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হতে থাকে, যদিও ১৯৩৮ সালে এই উৎসব নাজি বাহিনীর প্রচারণা স্থলে পরিণত হয়। কারণ, হিটলার আর মুসোলিনি সরকার তাদের পূর্বনির্ধারিত কিছু চলচ্চিত্রকেই মনোনয়ন দেয় আর পুরস্কারগুলো তাদের নিজ নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ রাখে।
এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে ফ্রান্স সরকার অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের নিজ দেশে ভেনিস উৎসবের বিকল্প একটি চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের মূলে ছিলেন তৎকালীন ফ্রেঞ্চ শিক্ষামন্ত্রী জাঁ ঝে। অতঃপর ১৯৩৯ সালের জুনে প্যারিস থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী নিশ শহরের নিকটে অবস্থিত প্রমোদকেন্দ্র কানে সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত কান চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর আগস্ট মাস থেকেই এই উৎসবের জন্য ছবি জমা নেয়া শুরু হয়। কিন্তু যেদিন উৎসব শুরু হবে, সেদিনই হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এতে ফ্রান্সে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং মাত্র একটি ছবি দেখিয়েই এই উৎসব শেষ করে দেয়া হয়। এর দু’দিন পর ফ্রান্স আর ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
ছয় বছর ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার পর, ১৯৪৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসব আবার আয়োজিত হয় ২০শে সেপ্টেম্বর এবং এতে ১৮টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করে। অনেক বড় বড় পরিচালকের ছবি এখানে দেখানো হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন - আমেরিকার বিলি ওয়াইল্ডার (ছবি- The Lost Weekend), ইতালিয়ান পরিচালক রবার্তো রোসেলিনি (ছবি- Open City), ফ্রান্সের রেনে ক্লেমেন্ট (ছবি-The Battle of the Rails) এবং ব্রিটেনের ডেভিড লিন (ছবি-Brief Encounter)। আয়োজকরা বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় সৃষ্টিশীল ছবিগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ১১ টি ছবিকে সর্বোচ্চ পুরস্কার : Grand Prix du Festival-এ ভূষিত করা হয়।
প্রথম কয়েক বছর আর্থিক সঙ্কটের কারণে এই উৎসব আয়োজকদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছিলো। পরবর্তীতে শুধু এই উৎসব আয়োজনের জন্য ‘পালেই দে ফেস্তিভাল’ নামক থিয়েটার বিশেষভাবে নির্মাণের পর ধীরে ধীরে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ১৯৫৫ সালে আয়োজকরা উৎসবের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকে সম্মানিত করার জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রঁন্দ প্রি’-র পরিবর্তে ‘পাম ডি’অর (স্বর্ণ পাম)’-এর প্রবর্তন করেন। পঞ্চাশের দশকে কান চলচ্চিত্র উৎসবকে চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হতো। এই সুনাম আজো অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে ফ্রান্স সরকার অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের নিজ দেশে ভেনিস উৎসবের বিকল্প একটি চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের মূলে ছিলেন তৎকালীন ফ্রেঞ্চ শিক্ষামন্ত্রী জাঁ ঝে। অতঃপর ১৯৩৯ সালের জুনে প্যারিস থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী নিশ শহরের নিকটে অবস্থিত প্রমোদকেন্দ্র কানে সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত কান চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর আগস্ট মাস থেকেই এই উৎসবের জন্য ছবি জমা নেয়া শুরু হয়। কিন্তু যেদিন উৎসব শুরু হবে, সেদিনই হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এতে ফ্রান্সে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং মাত্র একটি ছবি দেখিয়েই এই উৎসব শেষ করে দেয়া হয়। এর দু’দিন পর ফ্রান্স আর ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
ছয় বছর ধরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার পর, ১৯৪৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসব আবার আয়োজিত হয় ২০শে সেপ্টেম্বর এবং এতে ১৮টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করে। অনেক বড় বড় পরিচালকের ছবি এখানে দেখানো হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন - আমেরিকার বিলি ওয়াইল্ডার (ছবি- The Lost Weekend), ইতালিয়ান পরিচালক রবার্তো রোসেলিনি (ছবি- Open City), ফ্রান্সের রেনে ক্লেমেন্ট (ছবি-The Battle of the Rails) এবং ব্রিটেনের ডেভিড লিন (ছবি-Brief Encounter)। আয়োজকরা বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় সৃষ্টিশীল ছবিগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ১১ টি ছবিকে সর্বোচ্চ পুরস্কার : Grand Prix du Festival-এ ভূষিত করা হয়।
প্রথম কয়েক বছর আর্থিক সঙ্কটের কারণে এই উৎসব আয়োজকদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছিলো। পরবর্তীতে শুধু এই উৎসব আয়োজনের জন্য ‘পালেই দে ফেস্তিভাল’ নামক থিয়েটার বিশেষভাবে নির্মাণের পর ধীরে ধীরে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ১৯৫৫ সালে আয়োজকরা উৎসবের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকে সম্মানিত করার জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘গ্রঁন্দ প্রি’-র পরিবর্তে ‘পাম ডি’অর (স্বর্ণ পাম)’-এর প্রবর্তন করেন। পঞ্চাশের দশকে কান চলচ্চিত্র উৎসবকে চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হতো। এই সুনাম আজো অক্ষুণ্ণ রয়েছে।