মহানবমী, শারদীয়া দুর্গাপূজার শেষ রজনী
যেও না নবমী নিশি লয়ে তারা দলে, তুমি গেলে দয়াময়ী এ পরাণ যাবে। নবমীর নিশি পোহালেই মার যাবার পালা। মন সবারই ভারাক্রান্ত, একটা অদ্ভুত বিষণ্ণতা। মন খারাপের রঙ জামকে নিয়েই আমাদের নবমীর রাতের সোনামুখী সিল্ক।
তবুও যেন এ রঙ পরিতৃপ্তির, চারদিনের উৎসবের টুকরো টুকরো সোনালী স্মৃতি ছিটিয়ে আছে মীনা কাজের মধুবনী আঁকা আঁচলে, আমরা গেঁথে রাখছি মঙ্গলসূত্রে। ভোগের বেগুনভাজার ব্যঞ্জনবর্ণ, পঞ্চকশাইয়ের জাম ফল, খুঁজে পাওয়া জারুল ফুল, আবার নবমী পুজোর ব্যবহৃত খাল, বিলে ফুটে থাকা বেগুনী কুমুদ ফুলকে পেয়েছি আমরা কুরশের কাজের রুমালে।
এই রঙ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের পশ্চিম প্রান্তে, আরব সাগরের পারে। সব্বাই মেতে উঠেছে নবরাত্রির গরবা, ডান্ডিয়ার রাসে। নৃত্যবিলাসীরাও সেজে উঠছে এই একই নির্দিষ্ট রঙে।
নবমীর সকাল হলেই যেন মনটা কেমন খারাপ হতে থাকে। বেলা গড়িয়ে যতই বিকেল হতে থাকে ততই গভীর হতে থাকে মন খারাপ। আর সন্ধের পর থেকে ঢাকের আওয়াজেও যেন বিষাদের সুর। নবমীর রাতটা এলেই মনে হতে থাকে আজই পুজো শেষ। কাল ভাসান হলেই আবার সেই একঘেয়ে জীবনে ফেরা। আর মাত্র এক দিন ছুটি। তারপরই অফিস। আবার অফিস যেতে হবে ভাবলেই মুড অফ হয়ে যায়। আর নবমীর রাতে না চাইতেও মনে আসে এই চিন্তা।
সবচেয়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে কাটান, নিজের সবচেয়ে পছন্দের রেস্তোরাঁয় খেতে যান, সবচেয়ে পছন্দের পোশাকটা পরুন। যাতে এর পরেও এই বছরের নবমী নিশির কথা ভাবলে আপনার মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। নবমী নিশিটা তাই রাখুন এক্সক্লুসিভলি পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য। শেষবেলাটা পরিবারের সঙ্গে কাটালে দেখবেন পুজো চলে গেলেও মন খারাপ হবে না।
মহানবমী পুজোর তাৎপর্য সম্পর্কে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। তবে হিন্দু পুরাণ মতে মা দুর্গা মহিষাসুরকে দশমীতে বধ করছিলেন, তাই সেই দিক থেকে দেখতে গেলে যুদ্ধের শেষ দিন নবমী। অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণের সন্ধি পুজোর সময় মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। শাস্ত্র মতে, এই দিন দেবীর পূর্ণাঙ্গ পুজো করা হয়।
অষ্টমীর পূজার্চনার মতোই নবমীর দিনও জাঁকজমকভাবে মায়ের কাছে পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, নবমীর দিন মায়ের পূর্ণাঙ্গ পুজো হয় বলে, এই তিথিতে বলি, হোম এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান রয়েছে। এই বলিদান মহা নবমীর একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। মূলত মা দুর্গাকে সন্তুষ্ট করতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে করা হয়। অনেকেই ভাবেন বলি সাধারণত অষ্টমীতেই হয়। কিন্তু না, বলিদানের রীতিটি কেবল নবমীতেই সঞ্চালিত হয়। শাস্ত্র মতে, সন্ধি পুজোর প্রথম দণ্ড অর্থাৎ ২৪ মিনিট পার হওয়ার পরেই হয় বলি। সহজ করে বলতে গেলে, নবমী তিথি শুরু হওয়ার প্রথম ২৪ মিনিটের মধ্যে হয়।
প্রাচীন যুগে এই দিনে মায়ের কাছে পশু বলি হলেও, বর্তমান দিনে পশু বলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই এখন কুমড়ো, লাউ, আখ, শসা বা কলা ইত্যাদি বলিতে ব্যবহার করা হয়।
কোথাও কোথাও এই দিনে কুমারী পুজোও হয়ে থাকে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান কুমারী পুজো দেখার জন্য। ঘরের মায়েরা পরিবারের মঙ্গল কামনায় উপোস থেকে অঞ্জলি দিয়ে থাকেন। এই দিন বহু মণ্ডপে চলে পঙক্তি ভোজন। পুজো উদ্যোক্তারা লুচি, খিচুড়ি ও ফল, প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করেন সকলের মধ্যে। নবমীর সর্বশেষ আকর্ষণ হল সন্ধ্যা আরতি ও ধুনুচি নাচ।
তবুও যেন এ রঙ পরিতৃপ্তির, চারদিনের উৎসবের টুকরো টুকরো সোনালী স্মৃতি ছিটিয়ে আছে মীনা কাজের মধুবনী আঁকা আঁচলে, আমরা গেঁথে রাখছি মঙ্গলসূত্রে। ভোগের বেগুনভাজার ব্যঞ্জনবর্ণ, পঞ্চকশাইয়ের জাম ফল, খুঁজে পাওয়া জারুল ফুল, আবার নবমী পুজোর ব্যবহৃত খাল, বিলে ফুটে থাকা বেগুনী কুমুদ ফুলকে পেয়েছি আমরা কুরশের কাজের রুমালে।
এই রঙ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের পশ্চিম প্রান্তে, আরব সাগরের পারে। সব্বাই মেতে উঠেছে নবরাত্রির গরবা, ডান্ডিয়ার রাসে। নৃত্যবিলাসীরাও সেজে উঠছে এই একই নির্দিষ্ট রঙে।
নবমীর সকাল হলেই যেন মনটা কেমন খারাপ হতে থাকে। বেলা গড়িয়ে যতই বিকেল হতে থাকে ততই গভীর হতে থাকে মন খারাপ। আর সন্ধের পর থেকে ঢাকের আওয়াজেও যেন বিষাদের সুর। নবমীর রাতটা এলেই মনে হতে থাকে আজই পুজো শেষ। কাল ভাসান হলেই আবার সেই একঘেয়ে জীবনে ফেরা। আর মাত্র এক দিন ছুটি। তারপরই অফিস। আবার অফিস যেতে হবে ভাবলেই মুড অফ হয়ে যায়। আর নবমীর রাতে না চাইতেও মনে আসে এই চিন্তা।
সবচেয়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে কাটান, নিজের সবচেয়ে পছন্দের রেস্তোরাঁয় খেতে যান, সবচেয়ে পছন্দের পোশাকটা পরুন। যাতে এর পরেও এই বছরের নবমী নিশির কথা ভাবলে আপনার মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। নবমী নিশিটা তাই রাখুন এক্সক্লুসিভলি পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য। শেষবেলাটা পরিবারের সঙ্গে কাটালে দেখবেন পুজো চলে গেলেও মন খারাপ হবে না।
মহানবমী পুজোর তাৎপর্য সম্পর্কে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। তবে হিন্দু পুরাণ মতে মা দুর্গা মহিষাসুরকে দশমীতে বধ করছিলেন, তাই সেই দিক থেকে দেখতে গেলে যুদ্ধের শেষ দিন নবমী। অষ্টমী আর নবমীর সন্ধিক্ষণের সন্ধি পুজোর সময় মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। শাস্ত্র মতে, এই দিন দেবীর পূর্ণাঙ্গ পুজো করা হয়।
অষ্টমীর পূজার্চনার মতোই নবমীর দিনও জাঁকজমকভাবে মায়ের কাছে পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, নবমীর দিন মায়ের পূর্ণাঙ্গ পুজো হয় বলে, এই তিথিতে বলি, হোম এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান রয়েছে। এই বলিদান মহা নবমীর একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। মূলত মা দুর্গাকে সন্তুষ্ট করতে এবং তাঁর আশীর্বাদ পেতে করা হয়। অনেকেই ভাবেন বলি সাধারণত অষ্টমীতেই হয়। কিন্তু না, বলিদানের রীতিটি কেবল নবমীতেই সঞ্চালিত হয়। শাস্ত্র মতে, সন্ধি পুজোর প্রথম দণ্ড অর্থাৎ ২৪ মিনিট পার হওয়ার পরেই হয় বলি। সহজ করে বলতে গেলে, নবমী তিথি শুরু হওয়ার প্রথম ২৪ মিনিটের মধ্যে হয়।
প্রাচীন যুগে এই দিনে মায়ের কাছে পশু বলি হলেও, বর্তমান দিনে পশু বলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই এখন কুমড়ো, লাউ, আখ, শসা বা কলা ইত্যাদি বলিতে ব্যবহার করা হয়।
কোথাও কোথাও এই দিনে কুমারী পুজোও হয়ে থাকে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান কুমারী পুজো দেখার জন্য। ঘরের মায়েরা পরিবারের মঙ্গল কামনায় উপোস থেকে অঞ্জলি দিয়ে থাকেন। এই দিন বহু মণ্ডপে চলে পঙক্তি ভোজন। পুজো উদ্যোক্তারা লুচি, খিচুড়ি ও ফল, প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করেন সকলের মধ্যে। নবমীর সর্বশেষ আকর্ষণ হল সন্ধ্যা আরতি ও ধুনুচি নাচ।