গ্রীষ্ম কালে কোন ধরনের কাপড় পরিধান করা ভালো
গ্রীষ্ম হলো বছরের উষ্ণতম কাল।পৃথিবীর সর্বত্রই গ্রীষ্ম হলো কর্মোদ্যমের সময়। বিশেষ করে শীতপ্রধান দেশগুলোতে গ্রীষ্ম খুবই আরাধ্য, কেননা সেসকল দেশে শীতকালে কোনো ফসল উৎপাদিত হয় না, গ্রীষ্মকালেই সব ফসল উৎপাদন করে রাখতে হয়।বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী প্রথম দুই মাস বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ জুড়ে গ্রীষ্মকাল। এই সময় সূর্যের প্রচন্ড তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূমি, পানি শুকিয়ে যায়, অনেক নদীই নাব্যতা হারায়, জলশূণ্য মাটিতে ধরে ফাটল।
গ্রীষ্মকালের শেষার্ধ্বে সন্ধ্যাসমাগত সময়ে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী ঝড়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এসময় গাছে গাছে বিভিন্ন মৌসুমী ফল দেখা যায়, যেমন: আম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুয়ায়ী এর পরের ঋতুটিই হলো বর্ষাকাল। সেসময় প্রচন্ড বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মকালীন সব তপ্ততা মিটিয়ে দেয়।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে ঋতু ব্যাপক ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে ফুল ফোটে; শজারু শীতকালে ঘুমিয়ে থাকে। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। মহাসাগর থেকে নিয়ে আসা মেঘ বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে শীতল ও শুষ্ক বাতাস মুখোমুখি হয়ে পরস্পরের সংস্পর্শে এলে তা প্রবল ঝড়ের রূপ ধারণ করে। শুরু হয় প্রবল ঝড়। এই ঝড়কে আমরা কালবৈশাখী ঝড় বলে থাকি। গ্রামের ছেলেমেয়েরা একটু ঝড় কিংবা দমকা বাতাস হলেই ছুটে যায় আমতলায়-জামতলায়। ঝরে পড়া আম, ছিটকে পড়া জাম কুড়িয়ে পাওয়ার যে আনন্দ, তার কোনো তুলনা মেলে না কিছুতেই।
গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের চাপে ঘর্মগ্রন্থিটি কিংবা ঘাম শরীরের বাইরে বহনকারী সেই নালীটিই ফেটে যায় এবং ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। ত্বকের নিচে জমে থাকা এ ঘামই ঘামাচি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পানির মধ্যে চন্দন পাউডার মিশিয়ে ওই পানি গরম করে নিন। গোসলের পানির মধ্যে ওই পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এতে আপনার মধ্যে দিনভর সতেজ ভাব বজায় থাকবে। গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় লবণ আর পানি। এটা স্বাভাবিক নিয়ম।
কিন্তু এ পানিরঅভাবও পূরণ হওয়া চাই। গরমে ডাবের পানি ভালো। ডাবের পানি ঘামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।পানি আছে এমন শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন লাউ, শসা, গাজর, আলু, তরমুজ, ফুটি, পেঁপে ইত্যাদি।পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বেশি গরমে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে হতে পারে হিট স্ট্রোক। জ্বর, ঘামহীন শুষ্ক ত্বক, শ্বাস প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, এমন কি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গরমে বাইরে রোদে ধুলোময়লা, রোদের তাপ, বেশিক্ষণ এয়ারকন্ডিশনে থাকা, এ রকম নানা কারণে আমাদের চুল সৌন্দর্য ও কোমলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়।খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।ধুলো-ময়লা, বৃষ্টির পানিতে ভিজে অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়।চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ভালো কোম্পানির কন্ডিশনার লাগান।প্রতিকদিন কিছুটা সময় চুলের যত্ন নিন।এই গরমে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন, প্রচুর পানি খান, বার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন এবং সবার ওপরে নিজের ত্বককে ভালোবাসুন।
গরমকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের বেশি বংশবিস্তারের আশঙ্কা থাকে। খাবার বা পানিবাহিত অসুখ_ টাইফয়েড, জন্ডিস এসব অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ এ সময় বেশি হয়। সে জন্য ফুটপাতের শরবত, খোলা খাবার বা কাটা ফল খাওয়া পরিহার করা উচিত। একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বার বার অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। টক দই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমে নানাভাবে টক দই খাওয়া দরকার।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হলো সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। এর পাতার ভেতরের থকথকে আঠালো অংশটুকু সরাসরি ত্বকে লাগাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করবেন, ত্বকের জ্বালাভাব কমে যাচ্ছে এবং নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বক ফিরে পাবেন। এটি যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি তারা এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
গ্রীষ্মকালের শেষার্ধ্বে সন্ধ্যাসমাগত সময়ে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী ঝড়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এসময় গাছে গাছে বিভিন্ন মৌসুমী ফল দেখা যায়, যেমন: আম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুয়ায়ী এর পরের ঋতুটিই হলো বর্ষাকাল। সেসময় প্রচন্ড বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মকালীন সব তপ্ততা মিটিয়ে দেয়।
জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে ঋতু ব্যাপক ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে ফুল ফোটে; শজারু শীতকালে ঘুমিয়ে থাকে। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল চলে। মহাসাগর থেকে নিয়ে আসা মেঘ বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে শীতল ও শুষ্ক বাতাস মুখোমুখি হয়ে পরস্পরের সংস্পর্শে এলে তা প্রবল ঝড়ের রূপ ধারণ করে। শুরু হয় প্রবল ঝড়। এই ঝড়কে আমরা কালবৈশাখী ঝড় বলে থাকি। গ্রামের ছেলেমেয়েরা একটু ঝড় কিংবা দমকা বাতাস হলেই ছুটে যায় আমতলায়-জামতলায়। ঝরে পড়া আম, ছিটকে পড়া জাম কুড়িয়ে পাওয়ার যে আনন্দ, তার কোনো তুলনা মেলে না কিছুতেই।
গরমের সময় অতিরিক্ত ঘামের চাপে ঘর্মগ্রন্থিটি কিংবা ঘাম শরীরের বাইরে বহনকারী সেই নালীটিই ফেটে যায় এবং ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। ত্বকের নিচে জমে থাকা এ ঘামই ঘামাচি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পানির মধ্যে চন্দন পাউডার মিশিয়ে ওই পানি গরম করে নিন। গোসলের পানির মধ্যে ওই পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এতে আপনার মধ্যে দিনভর সতেজ ভাব বজায় থাকবে। গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় লবণ আর পানি। এটা স্বাভাবিক নিয়ম।
কিন্তু এ পানিরঅভাবও পূরণ হওয়া চাই। গরমে ডাবের পানি ভালো। ডাবের পানি ঘামের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।পানি আছে এমন শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন লাউ, শসা, গাজর, আলু, তরমুজ, ফুটি, পেঁপে ইত্যাদি।পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বেশি গরমে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে হতে পারে হিট স্ট্রোক। জ্বর, ঘামহীন শুষ্ক ত্বক, শ্বাস প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, এমন কি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গরমে বাইরে রোদে ধুলোময়লা, রোদের তাপ, বেশিক্ষণ এয়ারকন্ডিশনে থাকা, এ রকম নানা কারণে আমাদের চুল সৌন্দর্য ও কোমলতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়।খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।ধুলো-ময়লা, বৃষ্টির পানিতে ভিজে অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়।চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ভালো কোম্পানির কন্ডিশনার লাগান।প্রতিকদিন কিছুটা সময় চুলের যত্ন নিন।এই গরমে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন, প্রচুর পানি খান, বার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন এবং সবার ওপরে নিজের ত্বককে ভালোবাসুন।
গরমকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের বেশি বংশবিস্তারের আশঙ্কা থাকে। খাবার বা পানিবাহিত অসুখ_ টাইফয়েড, জন্ডিস এসব অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ এ সময় বেশি হয়। সে জন্য ফুটপাতের শরবত, খোলা খাবার বা কাটা ফল খাওয়া পরিহার করা উচিত। একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বার বার অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। টক দই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমে নানাভাবে টক দই খাওয়া দরকার।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হলো সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। এর পাতার ভেতরের থকথকে আঠালো অংশটুকু সরাসরি ত্বকে লাগাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করবেন, ত্বকের জ্বালাভাব কমে যাচ্ছে এবং নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর ত্বক ফিরে পাবেন। এটি যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবণতা যাদের বেশি তারা এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন।