জয়নগরের মোয়া
উত্তুরে হাওয়ায় মাঠে দোল খাচ্ছে পাকা কনকচূড়। মাথা ঝাঁকাচ্ছে খেজুর গাছ। শীতে জয়নগরের মোয়ায় কামড় বসাননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। দেশে-বিদেশে এই মোয়ার কদর রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এবং বহড়ু এলাকায় ঘরে ঘরে এই মোয়া তৈরি হয়। উপাদান কনকচূড় ধান, নলেন গুড়, কাজু, পেস্তা, কিসমিস, গাওয়া ঘি, মধু এবং খোয়া ক্ষীর। মোয়া কারবারিরা জানান, অঘ্রাণের শুরুতেই মোয়ার ‘ভিত’ তৈরি হয়। মাঠ থেকে ধান কেটে ঝাড়ার
পর খই ভাজা হয়। ডালপালা ছেঁটে রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছকে ‘তৈরি’ করা হয়।
মোয়ার জন্য প্রায় পাঁচ হাজার কুইন্টাল কনকচূড় ধান এবং চার হাজার লিটার নলেন গুড় দরকার হয়। কাজু, কিসমিস তো আছেই। ধান কাটা থেকে শুরু করে মোয়া বানিয়ে প্যাকেটবন্দি করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগে। শীতের মরসমে জয়নগরের অনেক মোয়া কারিগর রাজ্যের নানা প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েন। সেই সব জায়গায় অস্থায়ী ভাবে থেকে তাঁরা ‘জয়নগরের মোয়া’ বানান।
পর খই ভাজা হয়। ডালপালা ছেঁটে রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছকে ‘তৈরি’ করা হয়।
মোয়ার জন্য প্রায় পাঁচ হাজার কুইন্টাল কনকচূড় ধান এবং চার হাজার লিটার নলেন গুড় দরকার হয়। কাজু, কিসমিস তো আছেই। ধান কাটা থেকে শুরু করে মোয়া বানিয়ে প্যাকেটবন্দি করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগে। শীতের মরসমে জয়নগরের অনেক মোয়া কারিগর রাজ্যের নানা প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েন। সেই সব জায়গায় অস্থায়ী ভাবে থেকে তাঁরা ‘জয়নগরের মোয়া’ বানান।