শিবের গাজন যাত্রা - ভিডিও, গান, প্রক্রিয়া, মেলা
চৈত্র মাস গাজন ও চড়কের মাস! এই একমাস যাবৎ যেকোন বয়সের যেকোন ব্যক্তি এই ব্রত নিজের সাধ্যমতো উদযাপন করতে পারেন! একমাস করতে না পারলে চৈত্রের শেষ ১৫ দিন, বা ৭ দিন বা, ৫ দিন, বা ৩ দিন ধরেও ব্রত পালন করতে পারেন! ফাল্গুন মাসের সংক্রান্তির দিন ক্ষৌরকর্ম সেরে গঙ্গামাটি মেখে স্নান করে নতুন গৈরিক বস্ত্র পরিধান করতে হয়!
এদিন থেকে রোজ শিবনাম করতে হয় ও বিজোড় সংখ্যক মালসায় হবিষ্যান্ন (আতপ চাল, দুধ, গাওয়া ঘি, আখের গুড়, কাঁচকলা, সন্ধক নুন ইত্যাদি পরিশুদ্ধ ও সহজপাচ্য খাদ্য) গ্রহণ করতে হয়! চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক, তার আগের দিন নীলপূজা, নীলপূজার আগের দিন মহাহবিষ্য! এই শেষ ৩ দিনের (মহাহবিষ্য, নীল, চড়ক) নিয়ম একটু ভিন্ন!
মহাহবিষ্যের দিন সারাদিন উপবাসী থেকে রাতে একটি মালসায় ৩টি চাউল রেঁধে একটি খেতে হয়, একটি পাকপাত্রে ও একটি পাতে রেখে দিতে হয়! ঐ পাতে ফলমূল খাওয়া যাবে! পরদিন (নীলের দিন) উপবাসী থেকে বাবা তারকনাথের পুজো দিয়ে মন্দিরে নীলবাতি দিতে হয়!
রাতে ফলমূল খেতে হয়! পরদিন (চড়কের দিন) সকালে ছাতু ভোগ দিয়ে বাবা তারকনাথের পুজো দিয়ে প্রসাদ খেতে হয়! ঐদিন মুখরোচক অথচ সহজপাচ্য খাবার (লুচি, উচ্ছে প্রভৃতি) খেতে হয়! বিকেলে চড়কে উঠতে হয় ও কাঁটাঝাঁপ করতে হয়! ১লা বৈশাখ সকালে শিবগোত্র ত্যাগ করে নিজগোত্র পুনর্গ্রহণ করে উত্তরীয় ত্যাগ করতে হয়!
ঐদিন বাবা তারকনাথের পুজো দিয়ে সংবৎসরের জন্য মঙ্গল ও শান্তি প্রার্থনা করতে হয়! সর্বোপরি একটাই কথা বলার যে, ভক্তিই সব! ভক্তি আর বিশ্বাস না থাকলে কিছুই হবে না! বাবা তারকনাথের মহিমা অপার! সন্ন্যাসীরা বঁড়শিতে গ্রথিত হয়ে চড়কে ঘোরেন, কাঁটার উপরে ঝাঁপ দেন, খোলা বঁটি কাটারির উপর ঝাঁপ দেন, জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটেন, অথচ অক্ষত থাকেন!
এ সমস্তই বাবা তারকনাথের লীলা! তাই আজ হুগলী জেলার অন্তঃপাতি তারকেশ্বর ভারতের একটি বিখ্যাত শৈবতীর্থ! তারকেশ্বরের গাজনের মেলা অতি প্রাচীন একটি মেলা! বাবা তারকনাথ সকলের মঙ্গল করুন!
এদিন থেকে রোজ শিবনাম করতে হয় ও বিজোড় সংখ্যক মালসায় হবিষ্যান্ন (আতপ চাল, দুধ, গাওয়া ঘি, আখের গুড়, কাঁচকলা, সন্ধক নুন ইত্যাদি পরিশুদ্ধ ও সহজপাচ্য খাদ্য) গ্রহণ করতে হয়! চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক, তার আগের দিন নীলপূজা, নীলপূজার আগের দিন মহাহবিষ্য! এই শেষ ৩ দিনের (মহাহবিষ্য, নীল, চড়ক) নিয়ম একটু ভিন্ন!
মহাহবিষ্যের দিন সারাদিন উপবাসী থেকে রাতে একটি মালসায় ৩টি চাউল রেঁধে একটি খেতে হয়, একটি পাকপাত্রে ও একটি পাতে রেখে দিতে হয়! ঐ পাতে ফলমূল খাওয়া যাবে! পরদিন (নীলের দিন) উপবাসী থেকে বাবা তারকনাথের পুজো দিয়ে মন্দিরে নীলবাতি দিতে হয়!
রাতে ফলমূল খেতে হয়! পরদিন (চড়কের দিন) সকালে ছাতু ভোগ দিয়ে বাবা তারকনাথের পুজো দিয়ে প্রসাদ খেতে হয়! ঐদিন মুখরোচক অথচ সহজপাচ্য খাবার (লুচি, উচ্ছে প্রভৃতি) খেতে হয়! বিকেলে চড়কে উঠতে হয় ও কাঁটাঝাঁপ করতে হয়! ১লা বৈশাখ সকালে শিবগোত্র ত্যাগ করে নিজগোত্র পুনর্গ্রহণ করে উত্তরীয় ত্যাগ করতে হয়!
ঐদিন বাবা তারকনাথের পুজো দিয়ে সংবৎসরের জন্য মঙ্গল ও শান্তি প্রার্থনা করতে হয়! সর্বোপরি একটাই কথা বলার যে, ভক্তিই সব! ভক্তি আর বিশ্বাস না থাকলে কিছুই হবে না! বাবা তারকনাথের মহিমা অপার! সন্ন্যাসীরা বঁড়শিতে গ্রথিত হয়ে চড়কে ঘোরেন, কাঁটার উপরে ঝাঁপ দেন, খোলা বঁটি কাটারির উপর ঝাঁপ দেন, জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটেন, অথচ অক্ষত থাকেন!
এ সমস্তই বাবা তারকনাথের লীলা! তাই আজ হুগলী জেলার অন্তঃপাতি তারকেশ্বর ভারতের একটি বিখ্যাত শৈবতীর্থ! তারকেশ্বরের গাজনের মেলা অতি প্রাচীন একটি মেলা! বাবা তারকনাথ সকলের মঙ্গল করুন!