১৪ ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইন ডে - ভালবাসা দিবসের ইতিহাস
ষোড়শ শতাব্দী থেকে শুরু হয় আধুনিক ভ্যালেন্টাইন ডে রীতি। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের একটি নাম ভ্যালেনটাইনেস ডে। ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি নিয়ে অনেকের মধ্যে বিরোধ আছে। যে কাহিনীই শুনি, সেইটাকেই সত্য বলে মনে হয়। তরুণ-তরুণীরা মনের মানুষের কাছে চিঠি, এসএমএস, ভিডিও বার্তায় ভালোবাসার নিমন্ত্রণ পাঠায়। ১৯৩৬ সালের পূর্বে কাগজের কার্ডের পরিবর্তে তামার পাত বা কাঠের ফলকে খোদাই করে মনের কথা পাঠানো হতো। ইউরোপে ১৪ ফেব্রুয়ারি আসার এক সপ্তাহ পূর্ব থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যায়।
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এ দিবস ঘটা করেই পালন করা হয়। শিশুরা স্কুলে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ সঙ্গীত পরিবেশন করে। বিশেষ খাবারের আয়োজন করে ইতালির অধিবাসীরা। আর কাগজের তৈরি লাল ফুল বিনিময় করে ডেনমার্কবাসী। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। রয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদ, ‘যৌতুক নয় ভালোবাসায় জীবন গড়ি’ স্লোগান নিয়ে ১৯৯৮ সালে এ দেশে তাদের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
গত কয়েক বছর ধরে অনেক দেশে এই দিবস পালনের রীতি চালু হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হোক বা না হোক দিবস পালনের নিষেধাজ্ঞা চোখে পড়ে না। বরং কিছু কিছু মিডিয়া এমনভাবে অনুষ্ঠান প্রচার ও লেখালেখি করে যাতে অর্ধ-মৃত মানুষেরও ঘুম ভেঙে যায় এই দিবস পালনের তাড়নায়। কারো কারো কাছে এ দিবস যেন অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার। তারা নানাভাবে উপার্জনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এ শুরুর ইতিহাস হিসেবে একাধিক ঘটনা জানা যায়। কোনটি সঠিক বলা মুশকিল। প্রত্যেকেই তার নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রাচীন রোমবাসী কুমারী মেয়েরা ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনে ভালোবাসার কাব্য লিখে মাটির পাত্রে জমা করত আর যুবকরা পাত্র থেকে একটি লেখা তুলে নিতো। যুবকের হাতে যার লেখা উঠে আসতো সেই মেয়েটিকেই সে ভালোবাসতো। (বিশ্ব দিবস)।
অপর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, রোমান সা¤্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ হওয়ার পর ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ইতালির সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন চিকিৎসক খ্রিস্টান পাদ্রিকে তৎকালীন রোমান স¤্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস বন্দি করেন। বন্দি অবস্থায় কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার ফলে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটির সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কারাবন্দি অবস্থায় সে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়লে রাজা তাকে মৃত্যুদ- দেন (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এরপর থেকেই খ্রিস্টান সম্প্রদায় ভ্যালেন্টাইনের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করতে থাকে।
ভ্যালেন্টাই দিবসের মতো খ্রিস্টানরা আরো অনেক দিবস পালন করে থাকে। যেমন- সেন্ট এন্ডু ডে (৩০ নভেম্বর), সেন্ট মার্টিন ডে (১১ নভেম্বর), সেন্ট বার্থেলোমিজম ডে (২৪ আগস্ট), সেন্ট জর্জ ডে (২৩ এপ্রিল), সেন্ট পথাট্রিক ডে (১৭ মার্চ)। কিন্তু উৎসবের প্রকাশভঙ্গি গির্জার চেতনাবিরোধী হয়ে পড়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ হয়।
আজকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি এলেই এক শ্রেণীর প্রেমিক-প্রেমিক দু’জন দু’জনকে একান্তে পাওয়ার ইচ্ছায় নানা কিছু করে। কার্ড, ফুল, চকলেট, লটারি, বিনোদন, ডেটিং, বৈশিষ্ট্যের পার্টিতে যোগদান, নানা কিছু উপহার দেয়া, মন বিনিময়, মত বিনিময় এ দিবসের মূল লক্ষ্য। উপহারকে যে যত বেশি আকর্ষণীয় করতে পারে তার ভালোবাসা যেন ততই পূর্ণতা লাভ করে। কেউবা তার প্রেমিকাকে এভাবে বলে, পৃথিবীর সকল উপহারই তোমার কাছে তুচ্ছ। তাই তোমার জন্য আমি নিজেই জীবন্ত উপহারের উপকরণ।
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এ দিবস ঘটা করেই পালন করা হয়। শিশুরা স্কুলে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ সঙ্গীত পরিবেশন করে। বিশেষ খাবারের আয়োজন করে ইতালির অধিবাসীরা। আর কাগজের তৈরি লাল ফুল বিনিময় করে ডেনমার্কবাসী। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। রয়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদ, ‘যৌতুক নয় ভালোবাসায় জীবন গড়ি’ স্লোগান নিয়ে ১৯৯৮ সালে এ দেশে তাদের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
গত কয়েক বছর ধরে অনেক দেশে এই দিবস পালনের রীতি চালু হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হোক বা না হোক দিবস পালনের নিষেধাজ্ঞা চোখে পড়ে না। বরং কিছু কিছু মিডিয়া এমনভাবে অনুষ্ঠান প্রচার ও লেখালেখি করে যাতে অর্ধ-মৃত মানুষেরও ঘুম ভেঙে যায় এই দিবস পালনের তাড়নায়। কারো কারো কাছে এ দিবস যেন অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার। তারা নানাভাবে উপার্জনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এ শুরুর ইতিহাস হিসেবে একাধিক ঘটনা জানা যায়। কোনটি সঠিক বলা মুশকিল। প্রত্যেকেই তার নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রাচীন রোমবাসী কুমারী মেয়েরা ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনে ভালোবাসার কাব্য লিখে মাটির পাত্রে জমা করত আর যুবকরা পাত্র থেকে একটি লেখা তুলে নিতো। যুবকের হাতে যার লেখা উঠে আসতো সেই মেয়েটিকেই সে ভালোবাসতো। (বিশ্ব দিবস)।
অপর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, রোমান সা¤্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ হওয়ার পর ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ইতালির সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন চিকিৎসক খ্রিস্টান পাদ্রিকে তৎকালীন রোমান স¤্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস বন্দি করেন। বন্দি অবস্থায় কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার ফলে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটির সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কারাবন্দি অবস্থায় সে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়লে রাজা তাকে মৃত্যুদ- দেন (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এরপর থেকেই খ্রিস্টান সম্প্রদায় ভ্যালেন্টাইনের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করতে থাকে।
ভ্যালেন্টাই দিবসের মতো খ্রিস্টানরা আরো অনেক দিবস পালন করে থাকে। যেমন- সেন্ট এন্ডু ডে (৩০ নভেম্বর), সেন্ট মার্টিন ডে (১১ নভেম্বর), সেন্ট বার্থেলোমিজম ডে (২৪ আগস্ট), সেন্ট জর্জ ডে (২৩ এপ্রিল), সেন্ট পথাট্রিক ডে (১৭ মার্চ)। কিন্তু উৎসবের প্রকাশভঙ্গি গির্জার চেতনাবিরোধী হয়ে পড়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ হয়।
আজকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি এলেই এক শ্রেণীর প্রেমিক-প্রেমিক দু’জন দু’জনকে একান্তে পাওয়ার ইচ্ছায় নানা কিছু করে। কার্ড, ফুল, চকলেট, লটারি, বিনোদন, ডেটিং, বৈশিষ্ট্যের পার্টিতে যোগদান, নানা কিছু উপহার দেয়া, মন বিনিময়, মত বিনিময় এ দিবসের মূল লক্ষ্য। উপহারকে যে যত বেশি আকর্ষণীয় করতে পারে তার ভালোবাসা যেন ততই পূর্ণতা লাভ করে। কেউবা তার প্রেমিকাকে এভাবে বলে, পৃথিবীর সকল উপহারই তোমার কাছে তুচ্ছ। তাই তোমার জন্য আমি নিজেই জীবন্ত উপহারের উপকরণ।