মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর মেলা এবং পৌষ পার্বন
মকর সংক্রান্তি কি? সূর্যের গতিপথ দ্বিবিধ। উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন। বিষুব রেখা থেকে সূর্যের উত্তর দিকে গমনের নাম উত্তরায়ণ আর দক্ষিণ দিকে গমনের নাম দক্ষিণায়ন। শ্রাবন থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত ছয় মাস দক্ষিণায়ন। এবং মাঘ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত ছয় মাস উত্তরায়ণ। পৌষের সংক্রান্তিকে বলা হয় উত্তরায়ণ সংক্রান্তি। এঁকে মকর সংক্রান্তিও বলা হয়। কারন, এই দিন সূর্য মকর রাশিতে সংক্রমিত করেন। শাস্ত্র মতে উত্তরায়ণ হল দেবযান পথ আর দক্ষিণায়ন হল পিতৃযান পথ।
পিতৃযানের পথ প্রবৃত্তির পথ। দেবযানের পথ হল নিবৃত্তির পথ। উত্তরায়ণের বার্তাবহ সেই মকর সংক্রান্তিতে ভারত ও ভারতের বাইরে থেকে অসংখ্য ভক্ত সেই মুক্তি’ র কামনা করে গঙ্গা সাগরে ছুটে যান।
মকর সংক্রান্তির দিন থেকে সূর্যের গতি উত্তরায়ণ গতিতে প্রারম্ভ হয়। এইজন্য এই মকর সংক্রান্তি পর্বকে উত্তরায়ণীও বলে থাকে। পুরাণ অনুসারে মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য নিজের পুত্র শনিদেবের ঘরে এক মাসের জন্য আসে, জ্যোতিষীয় দৃষ্টিতে সূর্য আর শনির কখন মিল সম্ভব হয় না। কিন্তু সূর্য নিজেই নিজের ছেলের ঘরে যায়। এইজন্য পুরাণের মতে মকর সংক্রান্তির দিন পিতা পুত্রের সম্পর্কের মধ্যে নিকটতা শুরু হয়।
মকর সংক্রান্তির দিন ভগবান বিষ্ণু মধু কৈটভের সাথে যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষনা করেছিল। সেদিন ভগবান মধুর কাধে মন্ধার পর্বত রেখে ঐ পর্বতকে চেপে দিয়েছিল এই জন্য ভগবান বিষ্ণুর নাম হয়েছিল মধুসূদন। মকর সংক্রান্তি তিথিতে সূর্যবংশের মহারাজ ভাগীরথ যাঁর বংশে প্রভু রামচন্দ্র এসেছিলেন। সেই মহারথী ভাগীরথ গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে তপস্যা করে এই পৃথিবীতে এনেছিলেন। ভাগীরথের বংশে সাগর রাজার ষাট হাজার পুত্রকে ভগবান কপিল মুনি অভিশাপ দিয়েছিলেন তারা ছিল পাতালে।তাদের এই শাপ থেকে মুক্ত করতে মহারাজ ভাগীরথ গঙ্গাকে ধরনীতে আনেন। এই মকর সংক্রান্তিতে ভাগীরথ তার পূর্বজদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পন করেন, মা গঙ্গা এই তর্পন স্বীকার করে এই তিথিতে সাগরের সঙ্গে মিলে যায়। এজন্য লক্ষ লক্ষ পূর্ণাত্মারা গঙ্গাসাগরে স্নান করেন এই তিথিতে।
এই মকর সংক্রান্তি তিথিতে মহাভারতে গঙ্গাপুত্র পিতামহ ভীষ্ম সূর্য উত্তরায়ণ হবার পর কৃষ্ণকে দর্শন করতে করতে স্ব-ইচ্ছায় শরীর ত্যাগ করেছিলেন। কারণ উত্তরায়ণের দিন যে ব্যক্তি দেহ ত্যাগ করে, সে ব্যক্তির আত্মা মোক্ষ লাভ করে, দেবলোক প্রাপ্তি হয়। সবাইকে মকর সংক্রান্তির এবং পৌষ পার্বন শুভেচ্ছা।
পিতৃযানের পথ প্রবৃত্তির পথ। দেবযানের পথ হল নিবৃত্তির পথ। উত্তরায়ণের বার্তাবহ সেই মকর সংক্রান্তিতে ভারত ও ভারতের বাইরে থেকে অসংখ্য ভক্ত সেই মুক্তি’ র কামনা করে গঙ্গা সাগরে ছুটে যান।
মকর সংক্রান্তির দিন থেকে সূর্যের গতি উত্তরায়ণ গতিতে প্রারম্ভ হয়। এইজন্য এই মকর সংক্রান্তি পর্বকে উত্তরায়ণীও বলে থাকে। পুরাণ অনুসারে মকর সংক্রান্তির দিন সূর্য নিজের পুত্র শনিদেবের ঘরে এক মাসের জন্য আসে, জ্যোতিষীয় দৃষ্টিতে সূর্য আর শনির কখন মিল সম্ভব হয় না। কিন্তু সূর্য নিজেই নিজের ছেলের ঘরে যায়। এইজন্য পুরাণের মতে মকর সংক্রান্তির দিন পিতা পুত্রের সম্পর্কের মধ্যে নিকটতা শুরু হয়।
মকর সংক্রান্তির দিন ভগবান বিষ্ণু মধু কৈটভের সাথে যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষনা করেছিল। সেদিন ভগবান মধুর কাধে মন্ধার পর্বত রেখে ঐ পর্বতকে চেপে দিয়েছিল এই জন্য ভগবান বিষ্ণুর নাম হয়েছিল মধুসূদন। মকর সংক্রান্তি তিথিতে সূর্যবংশের মহারাজ ভাগীরথ যাঁর বংশে প্রভু রামচন্দ্র এসেছিলেন। সেই মহারথী ভাগীরথ গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে তপস্যা করে এই পৃথিবীতে এনেছিলেন। ভাগীরথের বংশে সাগর রাজার ষাট হাজার পুত্রকে ভগবান কপিল মুনি অভিশাপ দিয়েছিলেন তারা ছিল পাতালে।তাদের এই শাপ থেকে মুক্ত করতে মহারাজ ভাগীরথ গঙ্গাকে ধরনীতে আনেন। এই মকর সংক্রান্তিতে ভাগীরথ তার পূর্বজদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পন করেন, মা গঙ্গা এই তর্পন স্বীকার করে এই তিথিতে সাগরের সঙ্গে মিলে যায়। এজন্য লক্ষ লক্ষ পূর্ণাত্মারা গঙ্গাসাগরে স্নান করেন এই তিথিতে।
এই মকর সংক্রান্তি তিথিতে মহাভারতে গঙ্গাপুত্র পিতামহ ভীষ্ম সূর্য উত্তরায়ণ হবার পর কৃষ্ণকে দর্শন করতে করতে স্ব-ইচ্ছায় শরীর ত্যাগ করেছিলেন। কারণ উত্তরায়ণের দিন যে ব্যক্তি দেহ ত্যাগ করে, সে ব্যক্তির আত্মা মোক্ষ লাভ করে, দেবলোক প্রাপ্তি হয়। সবাইকে মকর সংক্রান্তির এবং পৌষ পার্বন শুভেচ্ছা।