দোল পূর্ণিমা
আজ দোল পূর্ণিমা। গগনে আজ পূর্ণচন্দ্রের উদয় সন্ধ্যা হতে। সেই স্নিগ্ধ চন্দ্রালোকে জ্যোৎস্নায় প্লাবিত ভুবন। যারা লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়েন বা যারা শুনেছেন তারা জানবেন লক্ষ্মীর পাঁচালি শুরু এই দোল পূর্ণিমা তিথিকে নিয়ে। পাঁচালি তে লেখা আছে দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ। মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস।স্বর্ণসিংহাসনে বসি লক্ষ্মীনারায়ণ। কহিতেছেন নানা কথা সুখে আলাপন।
দেবী লক্ষ্মীর পাঁচালি এই দোল পূর্ণিমা ঘিরে। এরপর দেবর্ষি নারদ মুনি সবিস্তারে মর্তের দুর্ভিক্ষ, অনাচার জানালে দেবী হরিপ্রিয়া লক্ষ্মী দেবী তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করেন। সুদুর বৈকুণ্ঠে থেকে নয়, মা নিজে নেমে আসেন এই ধরিত্রীতে। এখান থেকেই দেবী লক্ষ্মীর মাহাত্ম্য শুরু।
দেবী লক্ষ্মী শ্রী, ধন, সম্পদ, ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য এর দেবী। তিনি এগুলির পূর্ণ বিকাশ ঘটান। তাইতো মর্তলোকে দেবী লক্ষ্মীর এত আরাধনা। পূর্ণ বিকাশ ঘটান বলে দেবী লক্ষ্মী পূর্ণ ভাবে প্রস্ফুটিত পদ্ম পুস্পে বিরাজিতা। তিনি হস্তে প্রস্ফুটিত বিকশিত পদ্ম ধারন করেন। অমাবস্যার পরদিন প্রতিপদ হতে শুক্ল চতুর্দশী অবধি চন্দ্র একটু একটু করে বিকশিত হতে থাকে, পূর্ণিমাতে পূর্ণ বিকশিত হয়ে যায়। দেবী লক্ষ্মী সর্বাত্মক বিকাশের দেবী, তাইতো পূর্ণিমা তিথিতে সন্ধ্যায় দেবীর আরাধনা হয়।
অশোক, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া আর রক্তকাঞ্চনের ডালে ডালে আগুনঝরা উচ্ছলতা। মৃদুমন্দ বাতাসে ভেসে আসছে ফুলের প্রাণমাতানো গন্ধ।কোকিলের কুহুস্বর আন্দোলিত করছে আবেগবিহ্বল বাঙালি-হৃদয়। চৈত্র-প্রারম্ভের এমনই এক দিনে আবিরের রঙে রঙিন হয়ে উঠছে প্রতিটি সনাতন বাঙালি। নৃত্য, পূজা, হোমযজ্ঞে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দোল উত্সব। শ্রীমতি রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরের রঙে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রা চলছে বাংলার আনাচে-কানাচে।
ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে মত্ত হয়েছে রং খেলায়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমায় বৃন্দাবনের নন্দন কাননে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে সখী রাধিকা দেবী ও গোপীগণের সাথে রঙের খেলায় মেতেছিলেন। রাধাকৃষ্ণ দোল উত্সব করতেন পুষ্পরেণুর মাধ্যমে। কালের আবর্তনে 'আবির' নামের লাল রঙের পাউডারে রূপান্তরিত হয়েছে। আবার, এই পূর্ণিমা তিথিতেই মর্ত্যধামে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আবির্ভূত হন। তাই একে গৌর পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
এছাড়াও এই দিনটি বসন্তোত্সব নামেও পরিচিত। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বহ্নুত্সবের আয়োজন করা হয় যা হোলিকাদহন বা মেড়াপোড়া বা চাঁচর উত্সব নামে পরিচিত। সর্বশেষে, আজকের এই পবিত্র ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে সকলকে জানাই আবির-রাঙানো শুভেচ্ছা।
দেবী লক্ষ্মীর পাঁচালি এই দোল পূর্ণিমা ঘিরে। এরপর দেবর্ষি নারদ মুনি সবিস্তারে মর্তের দুর্ভিক্ষ, অনাচার জানালে দেবী হরিপ্রিয়া লক্ষ্মী দেবী তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করেন। সুদুর বৈকুণ্ঠে থেকে নয়, মা নিজে নেমে আসেন এই ধরিত্রীতে। এখান থেকেই দেবী লক্ষ্মীর মাহাত্ম্য শুরু।
দেবী লক্ষ্মী শ্রী, ধন, সম্পদ, ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য এর দেবী। তিনি এগুলির পূর্ণ বিকাশ ঘটান। তাইতো মর্তলোকে দেবী লক্ষ্মীর এত আরাধনা। পূর্ণ বিকাশ ঘটান বলে দেবী লক্ষ্মী পূর্ণ ভাবে প্রস্ফুটিত পদ্ম পুস্পে বিরাজিতা। তিনি হস্তে প্রস্ফুটিত বিকশিত পদ্ম ধারন করেন। অমাবস্যার পরদিন প্রতিপদ হতে শুক্ল চতুর্দশী অবধি চন্দ্র একটু একটু করে বিকশিত হতে থাকে, পূর্ণিমাতে পূর্ণ বিকশিত হয়ে যায়। দেবী লক্ষ্মী সর্বাত্মক বিকাশের দেবী, তাইতো পূর্ণিমা তিথিতে সন্ধ্যায় দেবীর আরাধনা হয়।
অশোক, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া আর রক্তকাঞ্চনের ডালে ডালে আগুনঝরা উচ্ছলতা। মৃদুমন্দ বাতাসে ভেসে আসছে ফুলের প্রাণমাতানো গন্ধ।কোকিলের কুহুস্বর আন্দোলিত করছে আবেগবিহ্বল বাঙালি-হৃদয়। চৈত্র-প্রারম্ভের এমনই এক দিনে আবিরের রঙে রঙিন হয়ে উঠছে প্রতিটি সনাতন বাঙালি। নৃত্য, পূজা, হোমযজ্ঞে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে দোল উত্সব। শ্রীমতি রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরের রঙে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রা চলছে বাংলার আনাচে-কানাচে।
ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে মত্ত হয়েছে রং খেলায়। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমায় বৃন্দাবনের নন্দন কাননে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে সখী রাধিকা দেবী ও গোপীগণের সাথে রঙের খেলায় মেতেছিলেন। রাধাকৃষ্ণ দোল উত্সব করতেন পুষ্পরেণুর মাধ্যমে। কালের আবর্তনে 'আবির' নামের লাল রঙের পাউডারে রূপান্তরিত হয়েছে। আবার, এই পূর্ণিমা তিথিতেই মর্ত্যধামে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আবির্ভূত হন। তাই একে গৌর পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
এছাড়াও এই দিনটি বসন্তোত্সব নামেও পরিচিত। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বহ্নুত্সবের আয়োজন করা হয় যা হোলিকাদহন বা মেড়াপোড়া বা চাঁচর উত্সব নামে পরিচিত। সর্বশেষে, আজকের এই পবিত্র ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে সকলকে জানাই আবির-রাঙানো শুভেচ্ছা।