দীপাবলী উৎসব
দীপাবলী অর্থ আলোর উৎসব। এ-কে দেওয়ালী ও বলা হয়। এর সময়কাল কার্তিক মাসের অমাবস্যার সন্ধ্যা। শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর সর্বত্র এ উৎসব পালিত হয়। তবে আলো-কে আমন্ত্রণ-বরণ করার উপাচার অনেকটা পৃথিবীর সর্বব্যাপী । বৌদ্ধ, জৈন ও খৃস্টানরাও অন্যভাবে আলোর উৎসব পালন করেন।
শ্রীরাম চন্দ্র রাবণ বধ করে অযোধ্যায় আসলে প্রজারা তাঁকে স্বাগত জাননোর জন্য রাতব্যাপী অযোধ্যায় আলোকসজ্জা করে। অসুর শক্তির পরাজয়, মন্দ শক্তির পতনের এই উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে অযোধ্যার প্রজারা যেভাবে আলো আর উৎসবের আয়োজন করেছিল সেই ধারাবাহিকতায় আজও বিশ্বব্যাপী হিন্দুরা অসত্যের পরাজয় আর সত্যের জয়কে স্মরণ করতে দীপাবলীতে আলোর উৎসব করে থাকে।
দীপাবলীর অন্য তাৎপর্য হচ্ছে শ্রীশ্রীকালীপূজা ও দীপাবলী অনুষ্ঠিত হয় কার্তিক মাসে। কার্তিক মাসটি মৃতের মাস বলে পরিগণিত। এই মাসে মৃত পিতৃপুরুষদের গতিপথ আলোকিত করতে আকাশপ্রদীপ জ্বালানো হয়। মৃত পুরুষদের মুক্তি কামনায় এই আলোর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। যেহেতু মাকালী কালভয়হারিণী, ত্রিনয়নে তার চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি অনন্ত কোটি প্রদীপ্ত তারকা তাই তিনিই পিতৃপুরুষদের পথপ্রদর্শক।
তাঁর আলোকেই অন্ধকার থেকে জ্ঞানের পথে, যমলোক থেকে শাশ্বত মুক্তির পথে মানুষ গমন করতে পারে এই বিশ্বাস থেকে দীপাবলীর সাথে কালীপূজা জড়িয়ে আছে।
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শক্তির দেবী হিসেবে যুগ যুগ ধরে কালী পূজা বা শ্যামা পূজার আয়োজন করে আসছেন। এ উপলক্ষ্যে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। যে রাত, দেবীর গায়ের বর্ণের মতনই ঘোর কালো। মূলত ঋক বেদের ‘রাত্রি সূক্তে’ যে দেবীর খোঁজ মেলে তাঁকেই কালীর আদি সূত্র বলে মেনে নেওয়া হয়।
প্রাচীন প্রথা অনুসারে দীপাবলীর সন্ধ্যায় তেল দিয়ে সহস্র মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার মাটির প্রদীপের পরিবর্তে কলাগাছের খোলে প্রদীপ জ্বালানোও লক্ষণীয়। এখনও অনেক স্থানে এ সব প্রথা চালু আছে। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে অনেকে তেলের প্রদীপের পরিবর্তে মোমবাতি ব্যবহার করেন।
তারা এই দিনটি শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি হিসেবেও পালন করেন।
শ্রীরাম চন্দ্র রাবণ বধ করে অযোধ্যায় আসলে প্রজারা তাঁকে স্বাগত জাননোর জন্য রাতব্যাপী অযোধ্যায় আলোকসজ্জা করে। অসুর শক্তির পরাজয়, মন্দ শক্তির পতনের এই উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে অযোধ্যার প্রজারা যেভাবে আলো আর উৎসবের আয়োজন করেছিল সেই ধারাবাহিকতায় আজও বিশ্বব্যাপী হিন্দুরা অসত্যের পরাজয় আর সত্যের জয়কে স্মরণ করতে দীপাবলীতে আলোর উৎসব করে থাকে।
দীপাবলীর অন্য তাৎপর্য হচ্ছে শ্রীশ্রীকালীপূজা ও দীপাবলী অনুষ্ঠিত হয় কার্তিক মাসে। কার্তিক মাসটি মৃতের মাস বলে পরিগণিত। এই মাসে মৃত পিতৃপুরুষদের গতিপথ আলোকিত করতে আকাশপ্রদীপ জ্বালানো হয়। মৃত পুরুষদের মুক্তি কামনায় এই আলোর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। যেহেতু মাকালী কালভয়হারিণী, ত্রিনয়নে তার চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি অনন্ত কোটি প্রদীপ্ত তারকা তাই তিনিই পিতৃপুরুষদের পথপ্রদর্শক।
তাঁর আলোকেই অন্ধকার থেকে জ্ঞানের পথে, যমলোক থেকে শাশ্বত মুক্তির পথে মানুষ গমন করতে পারে এই বিশ্বাস থেকে দীপাবলীর সাথে কালীপূজা জড়িয়ে আছে।
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শক্তির দেবী হিসেবে যুগ যুগ ধরে কালী পূজা বা শ্যামা পূজার আয়োজন করে আসছেন। এ উপলক্ষ্যে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। যে রাত, দেবীর গায়ের বর্ণের মতনই ঘোর কালো। মূলত ঋক বেদের ‘রাত্রি সূক্তে’ যে দেবীর খোঁজ মেলে তাঁকেই কালীর আদি সূত্র বলে মেনে নেওয়া হয়।
প্রাচীন প্রথা অনুসারে দীপাবলীর সন্ধ্যায় তেল দিয়ে সহস্র মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। আবার মাটির প্রদীপের পরিবর্তে কলাগাছের খোলে প্রদীপ জ্বালানোও লক্ষণীয়। এখনও অনেক স্থানে এ সব প্রথা চালু আছে। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে অনেকে তেলের প্রদীপের পরিবর্তে মোমবাতি ব্যবহার করেন।
তারা এই দিনটি শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি হিসেবেও পালন করেন।