সিদ্ধিলাভে সিদ্ধিদাতার খোঁজে গণেশ চতুর্থী
হিন্দু পৌরাণিক অনুযায়ী গণেশ চতুর্থী বা গণেশ উৎসব হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। শিব ওঁ পার্বতী পুত্র গনপতি, নিজে মর্তে নেমে সমস্ত ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন এই বিশেষ দিনে। হিন্দু পঞ্জিকা মতে ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গনেশ বা গজানন এই মর্তে পূজিত হন।
শ্রী গণেশ কে মঙ্গল মূর্তি, বিঘ্নহর্তা নামে ডাকা হয় । বলা হয় সমস্ত শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয় । দেবতাদের মধ্যে তাঁকে প্রথম পূজ্য বলা হয় । ঋক বেদে গণনাং ত্বা গণপতিং হবামহে মন্ত্রে গণপতির আহ্বান দেখা যায় । যজু বেদের মন্ত্রে গণেশ কে দেব গনের মধ্যে গণপতি, প্রিয় গনের মধ্যে প্রিয়পতি এবং নিধি গনের মধ্যে নিধিপতি বলা হয়েছে ।
গনপতয়ে স্বাহা মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়- কৃষ্ণ যজু বেদের কাণ্বসংহিতা এবং ঐ বেদের মৈত্রায়নী সংহিতা তে । মৈত্রায়নী সংহিতা ও তৈত্তিরীয় আরণ্যকের গণপতির গায়ত্রী উল্লেখ সহকারে তাঁর বর্ণনা আছে । গণেশ পুরানে গণেশ কেই ওঁঙ্কার রূপী ভগবান বলা হয় । পুরান মতে গণেশ ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর পুত্র – তথা কুমার কার্ত্তিকের অনুজ ।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে গণেশ ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় উৎপন্ন হন এবং ইনি ভগবান বিষ্ণুর মতো চক্র, শঙ্খ, গদা, পদ্ম ধারন করেন । বামন পুরান মতে ভগবতী মাতা পার্বতী স্বীয় দেহ থেকে ভগবান গণেশ কে প্রকট করেন । আবার বরাহ পুরান মতে গণেশের সৃষ্টি হয়েছিল ভগবান শিবের মুখ থেকে। গণেশের মুখ কিভাবে গজানন হল – তা নিয়ে পুরানে একাধিক কাহানী দেখা যায় ।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে গ্রহরাজ শণি দেব গণেশ কে দর্শন করলে গণেশের মুণ্ড পাত হয় । পুরানে শনি দেবতার দৃষ্টিকে হানিকারক বলা হয় । আবার শিব পুরান মতে গণেশের মুণ্ডচ্ছেদ করেন স্বয়ং তাঁর পিতা মহাদেব । বরাহ পুরানেও শিব দ্বারা গণেশের মুণ্ডপাতের ঘটনা দেখা যায় । এতে মহাদেবী গৌরী ভীষনা রুষ্টা হলে শাপযুক্ত ঐরাবতের মস্তক কেটে গণেশের ধড়ে লাগিয়ে তাঁকে পুনর্জীবন দিয়ে দেবতাদের মধ্যে সর্ব অগ্রে পূজ্য ঘোষোনা করা হয় । গণ+ ঈশ= গণেশ । গণ অর্থে সমষ্টি যিনি ঈশ্বর বা নায়ক। তিনিই গণেশ ।
গণ শব্দটির মধ্যে আর একটি অর্থ আছে। এর অর্থ সেনাবাহিনী । গনেদের দের অগ্র দেখে তাঁর এক নাম গনণায়ক । গণেশ কে একদন্ত নামে ডাকা হয়। বলা হয় গণেশের একটি দাঁত কেটেছিলেন পরশুরাম । মহাভারত স্বহস্তে লিখেছিলেন গণেশ । ব্যাস ঋষি বলতেন আর গণেশ লেখতেন । গণেশ হল ‘গন শক্তি’ এর প্রতীক ।
মূষিককে শ্রী গণেশের বাহন বলা হয় । এই অপকারী প্রানীটি কিভাবে বাহন হল – এর মধ্যেও তত্ত্ব কথা আছে । মূষিক তাঁর দন্ত দিয়ে জিনিষপত্র কেটে তছনছ করে। ভালো মতো দেখলে দেখা যায় মূষিক অত্যন্ত ধৈর্য নিষ্ঠা সহকারে একস্থানে বসে এগুলো কাটে । যা আমদের ধৈর্যপরায়ন ধীর স্থির হবার শিক্ষা দেয় । তাছারা জীব অষ্টপাশে বদ্ধ । ঘৃনা, অপমান, লজ্জা, মান, মোহ, দম্ভ, দ্বেষ, বৈগুণ্য ইত্যাদি অষ্ট পাশ । শ্রী গণেশের বাহন এই অষ্টপাশ ছিন্ন করবার শক্তি দেয় । শ্রী গণেশের চরণে প্রনাম জানিয়ে বলুন-
ওঁ দেবেন্দ্র- মৌলি- মন্দার মকরন্দ কণারুণাঃ ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ ।
শ্রী গণেশ কে মঙ্গল মূর্তি, বিঘ্নহর্তা নামে ডাকা হয় । বলা হয় সমস্ত শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয় । দেবতাদের মধ্যে তাঁকে প্রথম পূজ্য বলা হয় । ঋক বেদে গণনাং ত্বা গণপতিং হবামহে মন্ত্রে গণপতির আহ্বান দেখা যায় । যজু বেদের মন্ত্রে গণেশ কে দেব গনের মধ্যে গণপতি, প্রিয় গনের মধ্যে প্রিয়পতি এবং নিধি গনের মধ্যে নিধিপতি বলা হয়েছে ।
গনপতয়ে স্বাহা মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়- কৃষ্ণ যজু বেদের কাণ্বসংহিতা এবং ঐ বেদের মৈত্রায়নী সংহিতা তে । মৈত্রায়নী সংহিতা ও তৈত্তিরীয় আরণ্যকের গণপতির গায়ত্রী উল্লেখ সহকারে তাঁর বর্ণনা আছে । গণেশ পুরানে গণেশ কেই ওঁঙ্কার রূপী ভগবান বলা হয় । পুরান মতে গণেশ ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর পুত্র – তথা কুমার কার্ত্তিকের অনুজ ।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে গণেশ ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় উৎপন্ন হন এবং ইনি ভগবান বিষ্ণুর মতো চক্র, শঙ্খ, গদা, পদ্ম ধারন করেন । বামন পুরান মতে ভগবতী মাতা পার্বতী স্বীয় দেহ থেকে ভগবান গণেশ কে প্রকট করেন । আবার বরাহ পুরান মতে গণেশের সৃষ্টি হয়েছিল ভগবান শিবের মুখ থেকে। গণেশের মুখ কিভাবে গজানন হল – তা নিয়ে পুরানে একাধিক কাহানী দেখা যায় ।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান মতে গ্রহরাজ শণি দেব গণেশ কে দর্শন করলে গণেশের মুণ্ড পাত হয় । পুরানে শনি দেবতার দৃষ্টিকে হানিকারক বলা হয় । আবার শিব পুরান মতে গণেশের মুণ্ডচ্ছেদ করেন স্বয়ং তাঁর পিতা মহাদেব । বরাহ পুরানেও শিব দ্বারা গণেশের মুণ্ডপাতের ঘটনা দেখা যায় । এতে মহাদেবী গৌরী ভীষনা রুষ্টা হলে শাপযুক্ত ঐরাবতের মস্তক কেটে গণেশের ধড়ে লাগিয়ে তাঁকে পুনর্জীবন দিয়ে দেবতাদের মধ্যে সর্ব অগ্রে পূজ্য ঘোষোনা করা হয় । গণ+ ঈশ= গণেশ । গণ অর্থে সমষ্টি যিনি ঈশ্বর বা নায়ক। তিনিই গণেশ ।
গণ শব্দটির মধ্যে আর একটি অর্থ আছে। এর অর্থ সেনাবাহিনী । গনেদের দের অগ্র দেখে তাঁর এক নাম গনণায়ক । গণেশ কে একদন্ত নামে ডাকা হয়। বলা হয় গণেশের একটি দাঁত কেটেছিলেন পরশুরাম । মহাভারত স্বহস্তে লিখেছিলেন গণেশ । ব্যাস ঋষি বলতেন আর গণেশ লেখতেন । গণেশ হল ‘গন শক্তি’ এর প্রতীক ।
মূষিককে শ্রী গণেশের বাহন বলা হয় । এই অপকারী প্রানীটি কিভাবে বাহন হল – এর মধ্যেও তত্ত্ব কথা আছে । মূষিক তাঁর দন্ত দিয়ে জিনিষপত্র কেটে তছনছ করে। ভালো মতো দেখলে দেখা যায় মূষিক অত্যন্ত ধৈর্য নিষ্ঠা সহকারে একস্থানে বসে এগুলো কাটে । যা আমদের ধৈর্যপরায়ন ধীর স্থির হবার শিক্ষা দেয় । তাছারা জীব অষ্টপাশে বদ্ধ । ঘৃনা, অপমান, লজ্জা, মান, মোহ, দম্ভ, দ্বেষ, বৈগুণ্য ইত্যাদি অষ্ট পাশ । শ্রী গণেশের বাহন এই অষ্টপাশ ছিন্ন করবার শক্তি দেয় । শ্রী গণেশের চরণে প্রনাম জানিয়ে বলুন-
ওঁ দেবেন্দ্র- মৌলি- মন্দার মকরন্দ কণারুণাঃ ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ ।
I have 3 Ganeshas in my office which I bought during my 4 week Rotary International trip to Bengaluru!